নিজস্ব প্রতিবেদক
গ্যাসের আগুনে দগ্ধ ৬ জনই না ফেরার দেশে
ঢাকার উত্তরখানে এক সপ্তাহ আগে গ্যাসের চুলা থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ আরো একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। গতকাল রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন সাগর (১২) গত শনিবার রাত দেড়টার দিকে মারা যায়। তার শরীরের ৬৩ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। গত ১৩ অক্টোবর ভোরের ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এ নিয়ে মোট ছয়জনের মৃত্যু হলো।
উত্তরখানের ব্যাপারীপাড়ার তিন তলা ওই ভবনের নিচতলায় পাইপলাইনের ছিদ্র থেকে গ্যাস জমে ছিল। সেদিন ভোর ৪টার দিকে রান্নাঘরের চুলা জ্বালাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আটজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেদিন সকালেই মো. আজিজুল ইসলাম (২৭) নামে একজনের মৃত্যু হয়। সেদিন সন্ধ্যায় মারা যান তার স্ত্রী মুসলিমা বেগম (২০)। আজিজুলের ফুফু সুফিয়া বেগম মারা যান পরদিন। এরপর ১৬ অক্টোবর রাতে সুফিয়ার মেয়ে পূর্ণিমা এবং পরদিন সকালে আজিজুলের বোন আঞ্জু আরার স্বামী ডাবলু মোল্লা মারা যান।
সর্বশেষ শনিবার রাতে পূর্ণিমার ছেলে সাগরেরও মৃত্যু হয় বলে এসআই বাচ্চু মিয়া জানান। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় দগ্ধ আজিজুলের বোন আঞ্জু আরা (২৫) এবং তার ছেলে আব্দুল্লাহ সৌরভ (৫) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। এই পরিবারের সদস্যরা গত মাসে ওই বাসার নিচতলায় ওঠেন। সেখানে তিনটি কক্ষে তারা থাকতেন। তাদের বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায়। মুসলিমা ও পূর্ণিমা উত্তরখানের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। আজিজুল একটি মাছের খামারে কাজ করতেন এবং ডাবলু অটোরিকশা চালাতেন। ডাবলুর ছেলে আব্দুল্লাহ ময়নারটেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ছিল।
"