চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ৩১ আগস্ট, ২০১৮

অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য কৃষি জমি অধিগ্রহণ না করার দাবি

চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য কৃষিজমি অধিগ্রহণ না করার দাবি জানিয়েছে ‘চরাঞ্চলের কৃষি জমি রক্ষা ফোরাম’ নামের একটি সংগঠন। এরই মধ্যে যে কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলো মালিকদের কাছে ফেরত দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটির নেতারা কৃষি জমির পরিবর্তে অনাবাদি খাস জমি অধিগ্রহণের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মজিবুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী মিরসরাই অর্থনৈতিক জোন উদ্বোধনের সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন কৃষি জমিতে কোনো অবস্থায় শিল্পকারখানা হবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ অমান্য করে একটি মহল ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি ও মৎস্য খামারের জমি অধিগ্রহণের লিপ্ত থাকায় ৩৫ হাজার কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে।

তিনি বলেন, ২৮ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে কোনো নোটিশ না দিয়ে। অথচ ৩০ হাজার একর অনাবাদি জমি পড়ে থাকলেও তা অধিগ্রহণ করা হচ্ছে না। বেড়িবাঁধের পশ্চিমে সন্দ্বীপ চ্যানেল পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার একর জমি আছে। এর মধ্যে ১৭ হাজার ৫০০ একর অধিগ্রহণ হয়েছে। পূর্ব-পশ্চিম ইছাখালী মৌজা, চরশরৎ, মঘাদিয়া ও মায়ানি মৌজা পর্যন্ত এসব জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো নোটিশও দেওয়া হয়নি।

মজিবুল হক বলেন, আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে ঈদের দুই দিন পর দেখা করেছি। তিনিও আশ্বাস দিয়েছেন কোনো কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। কিছুতেই কিছু না হলে আমরা শেষ পর্যন্ত আদালতে যাব। আমাদের শেষ ভরসা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। প্রয়োজনে উনার কাছে যাব। আশা করি সুবিচার পাব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল করিম, সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন ডিপটি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম, প্রচার সম্পাদক ফিরোজ আলম, তথ্য সম্পাদক নুরুল আলম, অর্থ সম্পাদক ওহিদুজ্জামান ও দফতর সম্পাদক নুরুল কবির।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close