নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ আগস্ট, ২০১৮

জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতের প্রস্তুতি, চার স্তরের নিরাপত্তা

প্রতিবারের মতো এবারও ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হবে জাতীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায়। তবে আবহাওয়ার প্রতিকূল হলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার জাতীয় ঈদগাহের সর্বশেষ প্রস্তুতি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, প্রধান জামাতের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন বিদুৎ ও জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মেয়র জানান, এবারই প্রথমবারের মতো ঈদগাহ ময়দানের বাইরে বোতলজাত পানির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সৌজন্যে রাস্তায় নামাজ আদায়কারীদের পানির চাহিদা মেটানোর জন্য এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

গত কয়েক বছরের মতো এবারও ঈদগাহ এলাকায় বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র বসানো হচ্ছে। রাখা হচ্ছে জরুরি টেলিফোন বুথ এবং গাড়ি রাখার ব্যবস্থা। ঈদের নামাজে এসে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে জাতীয় ঈদগাহে। মেয়র জানান, জাতীয় ঈদগাহে একসঙ্গে প্রায় এক লাখ মানুষ ঈদের নামাজ পড়তে পারবেন। প্রায় ৫ হাজার নারীর জন্যও নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। নামাজের আগে একসঙ্গে ১৫০ জন পুরুষ এবং ৫০ জন নারী ওজু করতে পারবেন।

ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনের সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মেয়রের সঙ্গে ছিলেন।

‘জায়নামাজ, ছাতা ছাড়া অন্য কিছু নয়’ : জাতীয় ঈদগাহসহ রাজধানীর সকল ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান। ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা প্রস্তুতি ঘুরে দেখে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, জাতীয় ঈদগাহে যারা আসবেন, তাদের আর্চওয়ে এবং মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। নামাজের আগে মৎস্য ভবন, প্রেস ক্লাব এবং শিক্ষা ভবন মোড় দিয়ে জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশ করা যাবে।

নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় জায়নামাজ বা ছাতা ছাড়া অন্য কিছু বহন না করতে নগরবাসীকে পরামর্শ দেন পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, ঢাকায় একটি জামাতও নিরাপত্তার বাইরে থাকবে না। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাধারণ পোশাকেও পুলিশ থাকবে। প্রায় ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য পুরো ঢাকা শহরে ঈদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, শুধু ঈদ জামাত না, পশুর হাট, মার্কেট, ব্যাংক, যান চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তাঘাট, ফাঁকা বাসাবাড়ি এবং ঢাকার প্রবেশ মুখগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মহানগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, পৌনে দুই কোটি মানুষের শহর ঢাকার প্রায় এক কোটিই এবার ঈদ করতে রাজধানীর বাইরে যাচ্ছেন।

ফাঁকা ঢাকায় জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, কোনো হুমকি নেই, তারপরও সব কিছু মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। পুলিশ ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close