নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১০ আগস্ট, ২০১৮

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্র কারাগারে

পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের পৃথক দুই মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার এই আদেশ দেন।

এর আগে পুলিশ দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে। ছাত্রদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত ছাত্রদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ সময় ছাত্রদের অভিভাবকরা আদালতের এজলাসে ভিড় করেন। আদালতের হাজতখানায় ছাত্রদের রাখা হয়। বিকেলে তাদের প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় অভিভাবকদের কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। এর আগে গত মঙ্গলবার এই ২২ ছাত্রের প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গ্রেফতার আসামিরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাকের ছাত্র। এর মধ্যে বাড্ডা থানা পুলিশ ১৪ ও ভাটারা থানা পুলিশ ৮ ছাত্রকে গ্রেফতার করে। বাড্ডা থানা পুলিশ ১৪ ছাত্রের ব্যাপারে আদালতকে জানিয়েছে, আসামিদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের নাম ও ঠিকানা দিয়েছেন। মামলার ঘটনার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এসব আসামিকে গ্রেফতার করার পর ঘটনাস্থলে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অন্যদিকে গ্রেফতার ৮ ছাত্রের ব্যাপারে ভাটারা থানা পুলিশ আদালতের কাছে দাবি করে, গ্রেফতার আসামিরা পুলিশের ওপর হামলা করার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।

ছাত্রদের জামিন না দিতে উভয় থানা পুলিশই আদালতকে বলে, মামলার তদন্তের জন্য পুনরায় তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন হতে পারে। ছাত্রদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেন, গ্রেফতার শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর কিংবা পুলিশের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত না।

কয়েকজন শিক্ষার্থীর আইনজীবী আদালতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া কাগজ জমা দিয়ে বলেছেন, তারা কোনো আন্দোলনে ছিল না। কোনো ভাঙচুর করেনি। তারা সেদিন ক্লাস করেছে। গ্রেফতার ছাত্র আমিনুল, হাসানুজ্জামাসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীর আইনজীবী আদালতকে জানান, আগামী সপ্তাহে তাদের পরীক্ষা আছে। জামিন না পেলে তাদের শিক্ষাজীবন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। আর মাসাদ মরতুজা বিন আহাদের আইনজীবী কামরুদ্দিন আদালতকে বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রকে পুলিশ সেদিন মারধর করেছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ। হাত ও ঘাড়ে জখম হয়েছে। আদালত পরে এই ছাত্রকে কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

পুলিশ দাবি করে, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আফতাবনগর মেইন গেটের রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেন। লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল দিয়ে রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করেন। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন আসামিরা। আসামিরা বাড্ডা থানার ওসির গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়ি আগুন ধরাতে গেলে পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close