চট্টগ্রাম ব্যুরো
পায়েলের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েলকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে চট্টগ্রামে। গতকাল শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এবং পায়েলের আত্মীয়-স্বজনরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পায়েলকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। জীবিত অবস্থায় খালে ফেলে দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। এটা নৃশংস অপরাধ। আর কাউকে যাতে এ ধরনের হত্যাকান্ডের শিকার না হতে হয় সে জন্য রাষ্ট্রের কাছে আমরা দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
তারা আরো বলেন, ঘটনায় জড়িত হানিফ পরিবহনের চালক ও সহকারীকে বিচারের আওতায় এনে দ্রুত তাদের শাস্তি দিতে হবে। তাদের যেন ফাঁসি হয়, এই প্রত্যাশা আমরা করছি। হানিফ পরিবহনের মালিককেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
চট্টগ্রামস্থ সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্ব এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক সারওয়ার হাসান জামিল, মানবাধিকার সংগঠক আমিনুল হক বাবু, সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউছুপ রিপন, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুমানা নাসরিন, পায়েলের তিন মামা কামরুজ্জামান চৌধুরী টিটু, গোলাম সোহরাওয়ার্দী বিপ্লব এবং বাহার চৌধুরী শিপন। প্রসঙ্গত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র পায়েল চট্টগ্রামের হালিশহরের গোলাম মাওলার ছেলে। গত ২১ জুলাই পায়েল হানিফ পরিবহনের বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। সোমবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গজারিয়া উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচে খালে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার মামা গোলাম সোরয়ার্দী বিপ্লব তিনজনকে আসামি করে গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ হানিফ পরিবহনের বাসের সুপারভাইজার জনিকে গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকার মতিঝিল এলাকা এবং বুধবার ঢাকার আরামবাগ থেকে চালক জামাল হোসেন এবং হেলপার মো. ফয়সালকে গ্রেফতার করে। মুন্সীগঞ্জের আদালতে গত বুধবার সুপারভাইজার জনি ও বৃহস্পতিবার চালক জামাল হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
"