নিজস্ব প্রতিবেদক
বিআরটিসিতে হযবরল
বেতন না পেয়ে বাস বন্ধ রাখলেন চালকরা
রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বিআরটিসিতে চলছে হযবরল অবস্থা। সংস্থাটির প্রায় ৩ হাজার কর্মীর বেতন অনিয়মিত। এর মধ্যে নয় মাস বেতন না পেয়ে কাজ বন্ধ রেখেছেন ঢাকার জোয়ার সাহারা ডিপোর বাসচালক ও কর্মচারীরা।
সারা দেশে বিআরটিসির ২২টি ডিপো আছে। এর মধ্যে ঢাকায় ডিপো আছে ছয়টি। এসব ডিপোর প্রায় তিন হাজার চালক, টেকনিশিয়ান, অফিস সহকারী এবং নিরাপত্তারক্ষীর বেতন বকেয়া। সরকারি বেতন স্কেলে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী তারা। গতকাল বুধবার জোয়ার সাহারা ডিপোতে গিয়ে দেখা যায়, বাসচালকসহ অন্য কর্মচারী কোনো কাজ করেননি। বেতন বকেয়া থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
জোয়ার সাহারায় আন্দোলনকারী চালকদের মাধ্যমে অন্যান্য ডিপোতে যোগাযোগ করেও বেতন বকেয়া থাকার বিষয়টি জানা গেছে। বিআরটিসির ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের কয়েকটি ডিপোর কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাবতলীতে ছয় মাস, মোহাম্মদপুর ডিপোতে পাঁচ এবং মতিঝিল ডিপোতে এক মাসের বেতন বকেয়া আছে। তবে ঢাকার তেজগাঁও ট্রাক ডিপো, মিরপুর দ্বিতল বাস ডিপো এবং কল্যাণপুর ডিপোতে বেতন বকেয়া নেই। ঢাকার বাইরে গাজীপুরে বিআরটিসির তিনটি ডিপোর কর্মীদের তিন মাসের বেতন বকেয়া। নরসিংদী ডিপোতে আট মাস, নারায়ণগঞ্জ ডিপোতে নয়, রংপুর ডিপোতে ১৩, কুমিল্লা ডিপোতে চার ও চট্টগ্রাম ডিপোতে নয় মাস বেতন হয় না।
বগুড়া ডিপোতে চার মাস, সিলেট তিন, পাবনা সাত, নোয়াখালীর সোনাপুরে তিন, খুলনায় তিন এবং দিনাজপুরের কর্মীরা ছয় মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না।
বিআরটিসির তথ্য অনুযায়ী, বিআরটিসির বর্তমানে সচল বাসের সংখ্যা ৯৩৭টি। ট্রাক আছে ১১০টা। সারা দেশের ১৯৮টি রুটে বিআরটিসির বাস চলাচল করে। এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিবহনের জনও বিআরটিসির বাস ভাড়া দেওয়া হয়। কয়েকটি রুটে বিআরটিসি নিজেরা বাস পরিচালনা করে। আবার কয়েকটিতে ইজারার মাধ্যমে ভাড়া আদায় করে বিআরটিসি।
বিআরটিসির পুরনো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, এক সময় অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়মে বেতন হতো বিআরটিসির কর্মীদেরও।
"