নিজস্ব প্রতিবেদক
আগোরার চেরিফল বাসায় গিয়ে হলো টমেটো!
রাজধানীর ইন্দিরা রোডের সুপারশপ আগোরা থেকে রাজীব উন নবী চেরিফল লেখা দেখে কিনেন। কিন্তু বাসায় গিয়ে বাচ্চারা খাওয়া শুরুর পরই দেখতে পান আসলে এটি চেরিফল নয়। পরে সেগুলো ফেরত আনলে আগোরা থেকে জানানো হয়, আপনি চেরি ফল কিনেননি, সবজি কিনেছেন। এটার নাম চেরি টমেটো। এরপর রাজীব উন নবী তো আকাশ থেকে পড়লেন! বিভিন্ন ধরনের ফল রাখা সারি থেকেই তো তিনি মাত্র ২৯০ গ্রাম চেরি ফল ২২৯ টাকা দিয়ে কিনেন। মুহূর্তে তা হয়ে গেল টমেটো সবজি?
গত শুক্রবার এ ঘটনাটি ঘটে। রাজীব উন নবীর অভিযোগ পেয়ে ইন্দিরা রোডের কুতুববাগ দরবার শরিফের পাশের ভবনে আগোরা আউটলেটের ম্যানেজার টুটুল জানান, স্টিকারে জায়গা কম থাকায় তারা শুধু চেরি শব্দটি লিখেছেন। আসলে চেরি টমেটো লেখা উচিত ছিল। টমেটোর দাম এত কেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘এটা যেনতেন টমেটো নয়, উন্নত জাতের বিদেশি টমেটো। দাম একটু বেশি হবে সেটাই স্বাভাবিক।’
পরে এই আউটলেট ঘুরে দেখা যায়, আকর্ষণীয় মোড়ক করে টমেটো ও কাঁচামরিচ রাখা হয়েছে আতা ও ছফেদা ফলের সারিতে সবজি কেন ফলের মধ্যে, পূর্ণ নামই বা কেন লেখা নেই? এটা কি ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা নয়Ñ জানতে চাইলে ম্যানেজার টুটুল নিজে হাতে মরিচ ও টমেটোর প্যাকেটগুলো সবজির সারিতে নিয়ে রাখলেন। এক পর্যায়ে প্রতিকার কোথায় পাওয়া যাবে জানতে চাইলে রাজীবকে তিনটি নম্বর দেন। কিন্তু তার সামনেই সেগুলোতে একাধিকবার কল দিলেও কেউ রিসিভ করেননি।
চেরি ফল টমেটোতে রূপান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে বাদানুবাদের মধ্যেই ফারুক সরদার নামের আরেক ক্রেতা মাছ হাতে হাজির। ম্যানেজারের নাকের গোড়ায় নিয়ে বললেন, ‘আপনাদের এই বাতাশি মাছ (ছোট মাছ) পচা। এভাবে লোক ঠকানোর ব্যবসা করেন কেন?’ কিন্তু টুটুল তার এই প্রশ্নেও লাজবাব। যেন কিছুই ঘটেনি বা তার কাছে কোনো অভিযোগই আসেনি। রাজীব উন নবী বললেন, ‘নগর জীবনে মানুষ খুবই ব্যস্ত। এজন্যই বাজারে না গিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্বাস করে পণ্য কিনেন। কিন্তু এরা যদি এমন লোক ঠকানোর কারবারি করেন তাহলে আমরা যাব কোথায়?’
"