নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিএনসিসিতে ৫ লাখ শিশু খাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল
আগামী ১৪ জুলাই (শনিবার) সারা দেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (প্রথম রাউন্ড) পালিত হবে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সারা দেশে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১,০০,০০০ আইইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২,০০,০০০ আইইউ) খাওয়ানো হবে।
এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পাঁচটি অঞ্চলের আওতাধীন ৩৬টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গত রোববার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিএনসিসি এলাকায় ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৮২ হাজার ১৫টি শিশুকে এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪৪ হাজার ৮২৩৫টি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। মোট ১৪৯৯টি কেন্দ্রের (স্থায়ী কেন্দ্র ৪৯টি ও অস্থায়ী কেন্দ্র ১৪৫০) মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন চলবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এই কার্যক্রমে মোট স্বাস্থ্যকর্মী-স্বেচ্ছাসেবী থাকবেন ২৯৯৮ জন, সেখানে প্রথম সারির সুপারভাইজার থাকবেন ১৮৩ জন আর তদারককারী থাকবেন ছয়জন। এ ছাড়া দ্বিতীয় সারির ১০৩ জন সুপারভাইজার এই কার্যক্রমে অংশ নেবেন। সভায় জানানো হয়, শিশুর সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি, দৃষ্টি শক্তির জন্য ভিটামিন ‘এ’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ‘এ’ চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে থাকে। ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, রক্তশূন্যতা এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণে বছরে দুইবার সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হাসানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেনÑ ডিএনসিসির সচিব দুলাল কৃষ্ণ সাহা, প্যানেল মেয়র সদস্য আলেয়া সরোয়ার ডেইজি, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমদাদুল হক, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফিরোজ আলম, প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মামুন প্রমুখ।
"