ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে মাছের আকাল ইলিশের দামে অস্বস্তি
ঈদে পোলাও-মাংসের স্বাদ নেওয়া হয়েছে অনেকবার। এখন স্বাদে একটু পরিবর্তন আনতে মাছের বাজারে ছুটছেন সবাই কিন্তু বাজারগুলোতে রীতিমতো মাছের আকাল। প্রাকৃতিক ও দেশি জাতের কৈ, শিং, মাগুর, শোল, পুঁটি, টেংরা মাছ তো জুটছেই না। ইলিশের দামেও নেই স্বস্তি। ময়মনসিংহ নগরীর মাছের বাজারগুলো ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্টো দুই-এক জাতের মাছ থাকলেও দাম বেশ চড়া। তবে সব ছাপিয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটছে ‘মাছের রাজা’ ইলিশ। ফলে ইলিশের দামে অস্বস্তি নিয়েই বাজার ছাড়তে দেখা গেছে ক্রেতাদের। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বচসার ঘটনাও ঘটছে।
গত বুধবার রাতে ও গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কয়েক দফা ময়মনসিংহের নতুন বাজার, মেছুয়া বাজার ও মিন্টু কলেজ রেলক্রসিং বাজার ঘুরে দেখা গেল এমন চিত্রের। বাজারে ইলিশ মাছ নিয়ে বসে আছেন মাছ বিক্রেতারা। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের পর এখনো জমে উঠেনি ময়মনসিংহের মাছের বাজার। বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়লেও সরবরাহ একেবারেই কম। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম হয়নি মাছের বাজার। সামান্য পরিমাণে যে কয়েক জাতের মাছ মিলছে তাও দাম নাগালের বাইরে।
নগরীর ধনাঢ্যদের বাজার হিসেবে পরিচিত নতুন বাজারে অন্যান্য সময় কমপক্ষে ১৮ থেকে ২০ জন ব্যবসায়ী মাছ বিক্রি করেন। কিন্তু গত দুইদিন ধরে মাছ নিয়ে বসেছেন জনা তিনেক ব্যবসায়ী। তাদেরই একজন ইনসান (৩০)। এই ব্যবসায়ীর আড়তে মিলছে কাজলি, বাগদা চিংড়ি ও ফিশারির রুই মাছ। এর মধ্যে ৬০০ টাকা কেজিতে কাজলি মাছ ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে বাগদা ও সাড়ে ৪০০ টাকা কেজিতে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে।
খানিক দূরেই আবদুল্লাহ নামের এক মাছ ব্যবসায়ী হাঁক দিচ্ছিলেন ‘এই নিয়ে যান রাজা ইলিশ’। চল্লিশের কোটায় তার বয়স। প্রায় ৩০ বছর ধরে এখানে মাছ বিকিকিনি করেন তিনি। তিনি জানান, তিনি পদ্মার ইলিশ বিক্রি করছেন। তার এখানে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম পাঁচ হাজার টাকা ও ১ কেজি ৪০০ গ্রাম ইলিশ বিক্রি হচ্ছে চার হাজার টাকায়।
"