নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাবলয়
এক মাসেই হলি আর্টিজান মামলার চার্জশিট
আগামি এক মাসের মধ্যেই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলার চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত বাস মালিক সমিতির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদ সামনে রেখে ঢাকা মহানগরীতে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি হলে তা বরদাশত করা হবে না বলে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। মহানগরীতে শতাধিক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুয়া পুলিশ, র?্যাব, ডিবি পরিচয়দানকারী অনেককেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পবিত্র ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষ যাতে কোনো ধরনের বাধার মুখে না পড়তে হয় তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। নাগরিক নিরাপত্তা বিঘিœত হলে তা যেকোনোভাবে প্রতিহত করা হবে বলেও জানান তিনি।
যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরের সব জায়গায় বিশেষ করে শহরের প্রবেশ পথে সমন্বিত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। টার্মিনালগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি রয়েছে কঠোরভাবে। প্রত্যেকটি টার্মিনালে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঈদের যাত্রী পরিবহনে কোনো ধরনের লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি রাস্তায় নামানো যাবে না। যদি এ ধরনের গাড়ি রাস্তায় পাওয়া যায় ভ্রাম্যমাণ টিম সেগুলো আটক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাছাড়া বাস টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়ার পূর্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিটি গাড়ি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাসস্ট্যান্ড ত্যাগ করবে। প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে একটি হলুদ আকৃতির দাগ বসানো হয়েছে। এই দাগ অতিক্রম করে কোনো বাস যাতে রাস্তায় না দাঁড়ায় সে বিষয়টিও মনিটরিং করবে পুলিশ।
পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাতে কোনো বাস অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে না পারে সেই দিকটি কঠোরভাবে দেখার জন্য। তাছাড়া যাত্রীদের কাছে যেন অতিরিক্ত বাসভাড়া আদায় করতে না পারে সে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে থাকবে বলেও জানান তিনি।
নগর থেকে বের হওয়ার প্রতিটি পয়েন্টে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যাত্রীদের বিভিন্ন টার্মিনালে হয়রানির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো টার্মিনালে যাত্রীদের নিয়ে যেন টানাহেঁচড়া না হয়, সেই বিষয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকবে।
যাত্রীরা যাতে নির্বিঘেœ শান্তিপূর্ণভাবে গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে পারে তার জন্য এই মহানগরীতে তাদের রেখে যাওয়া সম্পদ রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে জানান তিনি। ছুটিতে অফিস-আদালতও থাকবে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে।
পবিত্র ঈদ উদ্যাপনে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের থ্রেট নেই বলেও জানান তিনি। নিরাপত্তার কো ঘাটতি নেই বলেও জানান তিনি। শুধু তাই নয়, নগরীর প্রতিটি বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল, রেল স্টেশনও নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থাকবে বলে জানান তিনি।
"