নিজস্ব প্রতিবেদক
ঠিকাদারদের অনিয়মে অতিষ্ঠ নগরবাসী
রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা যুগোপযোগী করতে সরকার যখন ব্যাপক তৎপর। তখন বেশ কিছু এলাকায় ঠিকাদারদের অনিয়মের ফলে অতিষ্ঠ নগরবাসী। টেন্ডারের শর্ত ভঙ্গ করে মাসের পর মাস রাস্তা খুঁড়ে কাজ ফেলে রাখছেন তারা। এতে পরিবেশের পাশাপাশি বছরজুড়েই চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরবাসীর। কখনো কখনো তা পরিণত হয় মৃত্যু ফাঁদে। আইন কিংবা নিয়ম-কানুন কাগজ কলমেও থাকলেও তা মানছে না কেউই। অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে এ অবস্থা উল্লেখ এর জন্য নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান বিশিষ্টজনদের।
রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে ব্যস্ত সড়কগুলোর অন্যতম শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সড়কটি। অবস্থানগত ভাবে শাহবাগকে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বলা হলেও এই মোড়ের একটি বড় এলাকা জুড়ে গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথটিও হয়ে আছে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে সুয়ারেজ লাইন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ লাইন স্থানান্তরের জন্য এমন খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত এসব সেবাদানের লাইন স্থানান্তর ১৩ মার্চ ২০১৮ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও সে সময় পেরিয়ে আরো এক মাস অতিক্রম হয়েছে।
আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, উন্নয়ন যত কম ভোগান্তি করে করা যায় তত ভালো, টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন যখন দেয় তখনই সেখানে সব লেখা থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাস্তাটিরও একই অবস্থা। খোঁড়াখুঁড়ির কারণে দীর্ঘদিন রাস্তার অর্ধেক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনার পরিবেশ বিঘিœত হওয়ায় পথচারীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে, যা আইন ও প্রকল্পের শর্তের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী বেলাল খান বলেন, ‘যখনই মাটি খুঁড়েন তখনই দেখা যায় অজস্র লাইন সেখানে জড়ো হয়ে আছে।’ কর্মস্থলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা না থেকে শুধু শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করায় কাজ সময় মতো শেষ হয়।
"