নিজস্ব প্রতিবেদক
সাত গুণী শিল্পীকে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশের সংস্কৃতি বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দিন
নিজস্ব স্যাটেলাইটের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য হওয়ার মাধ্যমে আমাদের টেলিযোগাযোগ, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, সম্প্রচার কার্যক্রমসহ মহাকাশ গবেষণার বিশাল ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে। এই সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে। গতকাল সোমবার রাজধানীতে ‘শিল্পকলা পদক-২০১৭’ প্রদান অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সার্বিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাত গুণী শিল্পীকে শিল্পকলা পদক দেওয়া হয়।
শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় শিল্পকলা পদক প্রদান অনুষ্ঠান। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং স্বাগত বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
শিল্পকলা পদক ২০১৭ প্রাপ্তরা হলেনÑ কণ্ঠ সংগীতে মিহির লালা, যন্ত্রসংগীতে মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মিয়া, নাট্যকলায় এসএম মহসীন, লোকসংস্কৃতিতে কাঙালিনী সুফিয়া, চারুকলায় চন্দ্র শেখর দে, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন এবং নৃত্যকলায় শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়। পদকপ্রাপ্তদের পক্ষে অনুভূতি জানিয়ে বক্তব্য দেন মিহির লালা।
বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সংস্কৃতিদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মুক্তিসংগ্রামসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এ দেশের শিল্পী সমাজের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। জাতির যে কোনো প্রয়োজনে বা সংকটময় মুহূর্তে সংস্কৃতিকর্মীরা সবসময় সাহসী ভূমিকা পালন করেছে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘একটি জাতির তরুণ ও যুবসমাজের মাঝে শৃঙ্খলা, জাতীয়তাবোধ, দেশপ্রেমের চেতনা বিকাশসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য জাগিয়ে তুলতে সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শিশু, কিশোর ও যুবদের ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা, মাদক, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিষবাষ্প থেকে দূরে রাখতে তাদের মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদের জানাতে হবে, আমাদের এই মাতৃভূমিতে জঙ্গিবাদ বা সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। হাজার বছর ধরে নানা জাতি-ধর্মের মানুষ এই ভূখ-ে শান্তিপূর্ণভাবে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সুমহান ঐতিহ্য।’ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আধুনিক, সংস্কৃতিমনা ও সৃজনশীল জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা করেন।
অনুষ্ঠানের শেষে শিল্পকলা একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক দল অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শন করে।
"