নিজস্ব প্রতিবেদক
‘কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয়’
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব নয়। গত রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত ‘এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে টিভিইটির কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (এসটিইপি)’-এর সহায়তায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) জনাব মো. আবুল কালাম আজাদ। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা আমাদের অগ্রাধিকার, কিন্তু কারিগরি শিক্ষা হলো অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার।’ আমাদের সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর হার অনেক কমিয়ে এনেছে। মেয়েদের শিক্ষায় আমাদের সরকার ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। অতীতে কারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদার চোখে দেখা হতো না, কিন্তু এখন মেয়েরাও কারিগরি শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, মন্ত্রী যোগ করেন।
যুগোপযোগী জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন, শিক্ষা প্রশাসনের আধুনিকায়ন, ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল পুনর্গঠন এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন কলকারখানার মালিকরাই কারিগরি শিক্ষার সিলেবাস তথা পাঠ্যসূচি নির্ধারণ করবে। কলকারখানার মালিকরা বলবে ওনারা কী চান, আমরা সে অনুযায়ী সিলেবাস তৈরি করব। যাতে পাশ করে কেউ বেকার না থাকে।
প্রতি উপজেলায় একটি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আরো ২৩টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, চারটি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, আটটি মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিশেষ অতিথি কাজী কেরামত আলী বেশি বেশি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর । অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন্স অফিসার ড. মোখলেছুর রহমান এবং আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদসহ সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিল্পকারখানার মালিক, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
"