নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর রেশমি পোশাকে লেগেছে বৈশাখী রং
আর কয়েক দিন বাদেই পয়লা বৈশাখ। বাঙালির সবচেয়ে বড় এ উৎসবে চারদিকে পড়ে যায় সাজ সাজ রব। আর এ সাজের সবচেয়ে বড় উপকরণটি হলো পোশাক। রেশমি পোশাক বৈশাখি উৎসবকে আরো রাঙিয়ে তোলে। হাজারও পণ্যের ভিড়ে রেশমের আভিজাত্য এক রত্তিও কমেনি। রেশমের কথা আসলেই মনে পড়ে রাজশাহীর নাম। কেননা, ঐতিহ্য পরম্পরায় দুটি নামই বহন করছে একে অপরের পরিচিতি। তাই রাজশাহীর মানুষের যেকোনো আনন্দোৎসব আর রেশম একই সুতোয় গাঁথা। রেশমি পোশাক ছাড়া যেন সব খুশিই বেমানান। লাল-সাদা রঙের বাহারি থ্রি-পিস, রেশমি শাড়ি ও পাঞ্জাবিÑসবকিছুতেই রেশমের শুভ্রতা লাগবেই। রেশমের প্রতি রমণীদের বিশেষ টান নতুন কিছু নয়। এমন অনেক পুরুষেরও উৎসব উদ্যাপনে রেশমি পাঞ্জাবি চাই। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে রাজশাহী নগরীর সপুরা এলাকার প্রায় প্রতিটি বিপণীবিতানই বৈশাখী রঙে রাঙানো হয়েছে।
বৈশাখ সামনে রেখে প্রতিটি শোরুমই বাহারি রেশমি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। আর বাজার ঘুরে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে ক্রেতাদের মধ্যে এখনো রেশমের প্রধান্য কত। বিষয়টি মাথায় রেখেই রাত-দিন এক করে কাজ যাচ্ছেন ঐতিহ্যবাহী রাজশাহীর বিভিন্ন রেশম কারখানার মালিক ও শ্রমিকরা। রেশম সুতা দিয়ে নতুন নতুন ডিজাইনের শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস ও শিশুদের পোশাক তৈরি করে চলেছেন এখনো।
রেশমপল্লীতে বৈশাখের প্রস্তুতিটা শুরু হয় দুই মাস আগে থেকেই। ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় এখনো চলছে কাপড় বুননের কাজ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাড়তি পারিশ্রমিক নিয়ে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। কালেকশন ভালো থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই খুশি। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে বেচা-কেনাও জমে উঠেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
"