রংপুর প্রতিনিধি
মাজারের খাদেম হত্যা মামলার রায় ১৮ মার্চ
রংপুরের কাউনিয়ায় মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ১৮ মার্চ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। গতকাল রোববার রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।
বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক জানান, এই মামলায় ৪৬ জনের সাক্ষ গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল এই মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকাল সকালে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৯ জঙ্গিকে রংপুর আদালতে আনা হয়। এরা হলো- মাসুদ রানা, এছাহাক আলী, লিটন মিয়া, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব, সাদাত ওরফে রতন সরোয়ার, হোসেন ওরফে সাবু ও তৌফিকুল ইসলাম। গত বছরের ৩ জুলাই আদালতে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এদের মধ্যে জঙ্গি বাইক হাসান ও সাদ্দাম হোসেন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
বাকি ১২ জনের মধ্যে ৯ জঙ্গি গ্রেফতারের পর থেকে কারাগারে আছে। এছাড়া তিন জঙ্গি এখনো পলাতক। এরা হলো চান্দু মিয়া, রাজিবুল ইসলাম ওরফে বাদল ও বাবুল আখতার। ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার চৈতার মোড়ের মাজার শরীফের খাদেম রহমত আলীকে (৬০) গলা কেটে হত্যা করে জেএমবির সদস্যরা। তিনি টেপামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। চৈতার বাজারে তার ওষুধের দোকান ছিল। ওই দিন রাত ১১টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাচ্ছিলেন। চৈতার মোড়ে এলে জেএমবি সদস্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথারি কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত রহমত আলী সুরেশ্বরী পীরের অনুসারী ছিলেন। তার বাড়িতে দরবার শরিফ ছিল। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
"