নিজস্ব প্রতিবেদক
সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবি সাংবাদিকদের
ছয় বছর আগে নিজেদের বাড়িতে নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যার বিচারের দাবিতে সমাবেশ করেছে সাংবাদিকরা। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আয়োজনে সংগঠনটির মিলনায়তনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শেষে সাংবাদিকরা একটি মিছিল নিয়ে সচিবালয়ে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপি দেন।
সমাবেশে ডিআরইউ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক ক্লু লেস হত্যার ঘটনা তদন্ত করে বের করেছে। তাহলে কেন সাগর-রুনি হত্যায় যারা জড়িত, তাদের বের করতে পারছে না? যেকোনো নাগরিক হত্যার শিকার হলে তার খুনিদের বের করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাহলে কি রাষ্ট্র এখানে ব্যর্থ হচ্ছে?’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
জনগুরুত্বসম্পন্ন অনেক ঘটনার মতো সাগর-রুনির খুনির হত্যাকা-ে জড়িতদের খুঁজে বের করতেও আদালত কাছে স্বপ্রণোদিত রুল দেবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এই সাংবাদিক নেতা।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, শুধু একটি দিবসের মধ্যেই সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিকে সীমাবদ্ধ না রেখে কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, ‘সাংবাদিক দম্পতি হত্যা রহস্য এত দিনেও উন্মোচন করা যায়নি এটা বিশ্বাস করা যায় না। সাংবাদিকরা মনে করে হত্যার রহস্য উন্মোচন হলেও রহস্যময় কারণে তা প্রকাশ করা হচ্ছে না।’
ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক শুক্কুর আলী শুভ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরসালীন নোমানী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, রাজু আহমেদ এবং বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান সমাবেশে বক্তব্য দেন।
২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের বাসা থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এই হত্যা মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনও রহস্যের জট খোলেনি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে পাঁচজন অন্য একটি হত্যা মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন।
"