নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীতে আলোচনা সভায় বক্তারা
গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা করার দাবি
বাংলাদেশের শ্রমিকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে জাতীয় পর্যায়ে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তার মতে এই মজুরি ১৮ হাজার টাকা হওয়া দরকার। গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি বলেন, একজন শ্রমিক ৮ ঘণ্টা কাজ করে অর্জন করা অর্থ দিয়ে পরিবারের চারজন সদস্যের ভরণ-পোষণ চালাতে পারেনÑএমন মজুরি তাকে দিতে হবে। তবেই কেবল ন্যায্য মজুরি হবে। বাংলাদেশের বর্তমান বাজার পরিস্থিতির আলোকে ন্যূনতম মজুরি হয় ১৮ হাজার টাকা। পোশাক শিল্পের নূন্যতম মজুরি অত্যন্ত মানবেতর পর্যায়ে রয়েছে।
২০০৬ সালে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শুরু হওয়া শ্রমিক বিক্ষোভের সময় গাজীপুরে নিহত পোশাক শ্রমিক আবদুল্লাহ আল মেহেদী সোহাগের স্মরণে আলোচনারসভার আয়োজন করে সোহাগ স্মৃতি মঞ্চ। শ্রমিক নেতা শাহ আতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, শ্রমিক নেতা মিন্টু মিয়া ও শহিদুল ইসলাম সবুজ বক্তব্য দেন।
আনু মুহাম্মদ বলেন, দেশে মাথা পিছু আয় বেড়েছে, অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে বলে শোনানো হলেও প্রকৃত চিত্র হচ্ছে দারিদ্রের কারণে কম মজুরির শ্রমিকের অভাব নেই। আর সেকারণেই মালিকরা নিজ থেকে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে বাধ্য হচ্ছেন না। সভায় লিখিত উপস্থাপনায় বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের অবস্থা তুলে ধরেন রাজনৈতিক অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর গবেষক মাহা মির্জা। তিনি বলেন, ভিয়েতনাম আট হাজার ৫৬০ টাকা থেকে ১২ হাজার ৪৮০ টাকা, থাইল্যান্ড ২২ হাজার ৪৮০ টাকা, পাকিস্তান নয় হাজার ২৮০ টাকা, মালিয়েশিয়া ২২ হাজার ৪০০ টাকা, ভারত ১০ হাজার টাকা থেকে ১৪ হাজার টাকা, চীন ১২ হাজার টাকা থেকে ১৪ হাজার টাকা, কম্বোডিয়া ১২ হাজার টাকা নূন্যতম মজুরি দেয়। আর বাংলাদেশের ন্যূনতম মজুরি মাত্র পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা।
"