নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে মানববন্ধন স্মারকলিপি
নানা অনিয়ম ও অবস্থাপনার অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গতকাল সোমবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন করেছে চাকরিপ্রার্থীরা। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা সিটির ৬১টি কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার্থীদের জন্য আসন বিন্যাস না থাকা, যে যার মতো করে বসে পড়া, বসতে না পেরে কয়েকটি কেন্দ্রে মারামারি, নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু না হওয়া, সময় মতো প্রশ্ন হাতে না পাওয়া, মুঠোফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে যাওয়া, দেখে দেখে লেখাসহ নানান অভিযোগ তোলেন চাকরিপ্রার্থীরা। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরির সামনে ‘সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ’র ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেয় কয়েক শ পরীক্ষার্থী। অবিলম্বে পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানান। পরীক্ষা বাতিল না হলে আদালতে যাওয়ারও হুমকি দেন। এরপর মিছিল সহকারে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকে যাওয়ার সময় দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ তাদের গতিরোধ করে। সেখানে উপস্থিত নাসির উদ্দিন মোরশেদ নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দিয়ে বলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেখান থেকে চলে যেতে হবে। আমরা না যেতে চাইলে পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
এ ব্যাপারে পল্টন থানার ওসি মো. মাহমুদুল হক বলেন, লাঠিচার্জ বা আটকের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি, আপনারা সবাই যেতে পারবেন না। কয়েকজন যেতে পারবেন। এরপর তাদের মধ্য থেকে পাঁচজন এবং পল্টন জোনের এসি ও ডিসি স্যারসহ তাদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়ে যাওয়া হয় স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য। স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সাবেক শিক্ষার্থী শাফিন আহমেদ। বলেন, আমরা চেয়েছিলাম গভর্নর স্যারের সঙ্গে দেখা করতে, কিন্তু পারিনি। তার একজন প্রতিনিধির কাছে ছয় দফা দাবিতে আমরা স্মারকলিপি দিয়ে এসেছি।
রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ৬৬৩টি সিনিয়র অফিসার পদে সমন্বিতভাবে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় গত বছরের আগস্টে। এরপর রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংক সোনালী, রূপালী এবং জনতার সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রমে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ায় এ পরীক্ষা অনুষ্ঠান নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরে চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টে সে রায় ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করলে পরীক্ষার একদিন আগে গত বৃহস্পতিবার বিএসসির পক্ষ থেকে জানানো হয় আট ব্যাংকেরই পরীক্ষা হবে।
"