সংসদ প্রতিবেদক

  ১০ জানুয়ারি, ২০১৮

কৃষির একটি নিজস্বতা তৈরি হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষির একটি নিজস্বতা তৈরি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলহানির ক্ষেত্রে তার ফসল রক্ষার জন্য কৃষক যে উদ্যোগ গ্রহণ করে, বিমাব্যবস্থা চালু করা হলে কৃষক ফসল রক্ষায় ততটা উদ্যোগী নাও হতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এ-সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. আবদুল মতিন। জবাবে কৃষিমন্ত্রী আরো জানান, দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় শস্যবিমা চালুর ক্ষেত্রে কৃষকদের প্রদেয় প্রিমিয়ামের সাকুল্য কিংবা অংশবিশেষ সরকারের পক্ষ হতে প্রদান করা হলে এবং পরবর্তীতে কোনো কারণে বিমা সুবিধা সংকুচিত করা হলে মাঠ পর্যায়ে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এর ফলে ফসল উৎপাদন কমে গিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ হুমকির মুখে পড়তে পারে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সরকার সারে ভর্তুকি প্রদান করে থাকে। এছাড়া খামার যান্ত্রিকীকরণকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য সরকার একটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের সময় ভর্তুকি প্রদান করে থাকে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিলারদের কাছ থেকে কৃষকরা সার ক্রয় করে থাকে। তিনি আরো জানান, সারের আমদানি মূল্যে এবং কৃষক পর্যায়ে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যটি ভর্তুকি হিসেবে বিএডিসি ও বিসিআইসির ডিলার এবং বেসরকারি আমদানিকারকদের প্রদান করা হয়। একইভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়েও কৃষকরা ভর্তুকি সহায়তা লাভ করে থাকেন।

সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, গত ২০১৬-১৭ বোরো মৌসুমে আবাদের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮ লাখ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯১ দশমিক ৫৩ লাখ মেট্রিক টন। পাহাড়ি ঢল ও আকস্মিক বন্যার কারণে হাওর এলাকায় বোরো ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে। গত অর্থবছরে বোরো মৌসুমে মোট উৎপাদন হয় ১৮০ লাখ মেট্রিক টন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

সরকারি দলের অপর সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানান, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার কৃষকের দোরগোড়ায় সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। সারের ক্রয়মূল্য চার দফায় কমিয়ে সুষম সার ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া বিএডিসির মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাতের মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন করে ন্যায্যমূল্যে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist