নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু ১ ফেব্রুয়ারি
‘দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতা’ স্লোগানে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশের কবিদের মানবিক-মর্মন্তুদ সেই কবিতা নিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী জাতীয় কবিতা উৎসব। এবারের আসরটি কবিতা উৎসবের ৩২তম। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আসন্ন জাতীয় কবিতা উৎসব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয় কবিতা পরিষদ। কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত।
তিনি জানান, এবারের কবিতা উৎসবে সুইডেন থেকে কবি আরনে জনসন, ক্রিস্টিয়ান কার্লসন, ভিভেকা জোরেন, ইংল্যান্ড থেকে এগনেস মেডাওস, ক্যামেরুনের কবি জয়সে আওসাতাতাং, মিসরের কবি ইব্রাহিম এলমাসরি, মেক্সিকোর ইউরি জামব্রানো, জাপানের টেন্ডু তেইজিন, তাইওয়ানের মিয়াও-ওয়াইতুম, কলম্বিয়ার মারিও মেথর অংশ নেবেন। এ ছাড়া ভারত থেকে বিভিন্ন ভাষার কবিরা অংশ নেবেন। সব মিলিয়ে ৩০০ কবি এবারের উৎসবে কবিতা পাঠ করবেন। কবিতা পাঠ ছাড়াও কবিতা নিয়ে বিভিন্ন সেশনেও অংশ নেবেন তারা।
কবি মুহাম্মদ সামাদ জানান, এবারের কবিতা উৎসবে ঘোষণা আসবে জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কারের। উৎসবের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রতি এক বছর অন্তর কবিতা পরিষদ একজন কবিকে এ পুরস্কার প্রদান করে।
২০১৬ সালে এ পুরস্কার পান প্রয়াত কবি সাযযাদ কাদির। এ বছর কবিতা উৎসবের থিম সং লিখেছেন কবি মহাদেব সাহা।
স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে ১৯৮৭ সালে জাতীয় কবিতা উৎসবের শুরু। কবি তারিক সুজাত জানান, এবারের কবিতা উৎসবে মূল প্রতিপাদ্য হয়ে দাঁড়াবে মিয়ানমারের জাতিগত সন্ত্রাসের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী।
তিনি বলেন, ‘দেশহারা মানুষের অনিশ্চিতের যাত্রা এখনো অব্যাহত। আসন্ন জাতীয় কবিতা উৎসবে দেশ ও বিদেশের শুভবাদী কবিরা দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতার অমল শক্তি নিয়ে সাহস জোগাবেন।’ উগ্রবাদীদের পশ্চাৎপদ অন্ধবিশ্বাসের কাছে সঞ্চিত শুভ বোধের পরাজয় আর শান্তিকামী মানুষের সংকটে কবিরাও ‘আতঙ্কিত’ বলে জানান তারিক সুজাত। এবারের কবিতা উৎসবে বর্বরতার বিরুদ্ধে কবিতার শাণিত উচ্চারণে আমরা সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ জানাব, বলেন তারিক সুজাত।
"