প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯

মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারতের ঈর্ষণীয় সাফল্য

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরো সাম্প্রতিক সময়ের নানা সাফল্য আপামর ভারতবাসীকে গর্বিত করেছে। ১৯৬৯ সালে পথ চলা শুরু করে মাত্র এই কয়েক দশকে মহাকাশ গবেষণায় ভারত যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা এক কথায় অকল্পনীয়। সারা বিশ্ব এখন মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সাফল্যকে সম্মান করছে।

যেমন : ১০৪ উপগ্রহ একসঙ্গে পিএসএলভির মাধ্যমে পাঠিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছে ভারত। রাশিয়া এর আগে ৩৭টি উপগ্রহ একসঙ্গে মহাকাশে প্রতিস্থাপন করেছে। ভারত সেই রেকর্ডকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। তবে এটাই প্রথম নয়। গত কয়েক দশকে বারবার ইসরোর সাফল্য ভারতবাসীকে গর্বিত করেছে। মোট ১০৪ উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে ইসরো। এর মধ্যে বড় তিনটি উপগ্রহ রয়েছে ভারতের। বাকি ১০৩টি ছোট উপগ্রহ বাইরের দেশগুলোর। যার মধ্যে অন্যতম হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের মোট ৮৮টি ‘ন্যানো স্যাটেলাইট’কে ‘পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল’ বা পিএসএলভি ব্যবহার করে মহাকাশে সফলভাবে পাঠিয়েছে ইসরো।

২০১৪ সালে প্রথমবারের চেষ্টায় মঙ্গলে মহাকাশ যান পাঠিয়ে রেকর্ড করে ইসরো। এর আগে আর কোনো দেশ প্রথমবারের চেষ্টায় মঙ্গল অভিযান করতে পারেনি এবং সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে দশ গুণ কম খরচে মাত্র ৪৫০ কোটি টাকায় ইসরো মঙ্গল অভিযান করেছে। ২০০৮ সালে চন্দ্রের কক্ষপথে মহাকাশ যান পাঠায় ভারত। এর ফলে ষষ্ঠ দেশ হিসেবে এই এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেয় ইসরো। আইআরএনএসএস, ২০১৬ ইসরো তৈরি করে ভারতের নিজের স্যাটেলাইট নেভিগেশন মিশন সিস্টেম, যা সমুদ্রে দিকনির্ণয়ে বিশেষ সহায়ক হবে। ফলে বিপর্যয় মোকাবিলা ও জাহাজ হারিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাকে সহজেই মোকাবিলা করা সহজ হবে। ২০ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, ২০১৬ সালে একসঙ্গে ২০টি উপগ্রহ পাঠিয়ে নিজের রেকর্ড তৈরি করেছিল ইসরো। তার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি ও ইন্দোনেশিয়ার উপগ্রহও ছিল। ১৯৮৩ ইনস্যাট নামে জনপ্রিয় ৯টি উপগ্রহকে ১৯৮৩ সালে মহাকাশে পাঠায় ভারত। তথ্য ও সম্প্রচার ব্যবস্থাকে দক্ষিণ এশিয়ায় মজবুত করতেই এই পদক্ষেপ ছিল।

১৯৯৩ সাল থেকে পিএসএলভি বা পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল ১৯টি ভিন্ন দেশের ৪০ উপগ্রহকে সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে। ২০১৬ সালে মাত্র ৯৫ কোটি টাকা খরচে তৈরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য লঞ্চ ভেহিকল বা রিইউজেবল লঞ্চ ভেহিকল বা স্পেস শাটল বানিয়ে ইতিহাস তৈরি করে ইসরো। ১৯৭৫ সালে ভারতের অন্যতম সেরা জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্যভট্টের নামে প্রথম উপগ্রহ তৈরি হয়। এর মাধ্যমেই মহাকাশ গবেষণার জগতে প্রথম মাইলফলক তৈরি করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ২০২০ সালের মধ্যে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে পারেÑ এমন দেশগুলোর তালিকায় নিজের নাম ভারত নথিভুক্ত করতে পেরেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close