প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯

যে প্রক্রিয়ায় ভারত প্রজাতন্ত্র হয়

১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে দীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের ফলে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পায়। এই স্বাধীনতা আন্দোলনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে পরিচালিত, প্রায় সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ অহিংস অসহযোগ আন্দোলন ও আইন অমান্য আন্দোলন। স্বাধীনতা লাভের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয় ব্রিটেনের আইন পরিষদে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন পাস হওয়ার মাধ্যমে। এর ফলে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে গিয়ে কমনওয়েলথ অব নেশনসের অন্তর্গত অধিরাজ্য হিসেবে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের জন্ম হয়। ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হলেও দেশের প্রধান হিসেবে তখনো বহাল ছিলেন ষষ্ঠ জর্জ এবং গভর্নর জেনারেল লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন। তখনো দেশে কোনো স্থায়ী সংবিধান ছিল না; ঔপনিবেশিক ভারত শাসন আইনে কিছু রদবদল ঘটিয়েই দেশ শাসনের কাজ চলছিল। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ ২৮ আগস্ট একটি স্থায়ী সংবিধান রচনার জন্য ড্রাফটিং কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ভীমরাও রামজি আম্বেদকার। ৪ নভেম্বর ১৯৪৭ তারিখে কমিটি একটি খসড়া সংবিধান প্রস্তুত করে গণপরিষদে জমা দেয়। চূড়ান্তভাবে সংবিধান গৃহীত হওয়ার আগে ২ বছর, ১১ মাস, ১৮ দিনব্যাপী সময়ে গণপরিষদ এই খসড়া সংবিধান আলোচনার জন্য ১৬৬ বার অধিবেশন ডাকে। এসব অধিবেশনে জনসাধারণের প্রবেশের অধিকার ছিল। বহু বিতর্ক ও কিছু সংশোধনের পর ২৪ জানুয়ারি ১৯৫০-এ গণপরিষদের ৩০৮ জন সদস্য চূড়ান্ত সংবিধানের হাতে-লেখা দুটি নথিতে (একটি ইংরেজি ও অপরটি হিন্দি) স্বাক্ষর করেন। এর দুদিন পর ২৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী এই সংবিধান কার্যকর হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close