ক্রীড়া ডেস্ক
অনন্য উচ্চতায় ইব্রাহিমোভিচ
পিএসজি ৭ : ১ সেল্টিক
প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) আক্রমণভাগ কতটা ভয়ঙ্কর সেটা এই মৌসুমের প্রতিপক্ষ দলগুলো ভালোই টের পেয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি তোপটা গেছে সেল্টিকের উপর দিয়েছে। প্রথম লেগে স্কটিশ ক্লাবটি তাদেরই মাঠে পিএসজির কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল। প্যারিসে তো রীতিমতো চূর্ণ হলো সেল্টিক। নেইমারের আগুন পারফরম্যান্সে পুড়ে ছাই হলো অতিথিরা। পরশু নেইমার-কাভানির ডাবলস নৈপুণ্য পিএসজি ৭-১ গোলে চূর্ণ করেছে সেল্টিককে। ম্যাচের প্রথম মিনিটে মুসা ডেম্বেলে পিএসজির জাল কাঁপিয়ে কী ভুলটাই না করেছেন! এক গোলের জবাবে পুরো ম্যাচেই সেল্টিককে নিয়ে ছেলে-খেলা করেছে ফ্রেঞ্চ ক্লাবটি।
পিএসজির গোলবন্যার দিনে ইতিহাসের পাতায় নিজের নামটা খেদাই করে নিয়েছেন জøাতান ইব্রাহিমোভিচ। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ফুটবলার হিসেবে সাতটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। কিন্তু ম্যাচটা ইব্রা ভুলে যেতে চাইবেন। কারণ এদিন যে সুইস ক্লাব বাসেলের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে তার দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
৯ মিনিটে নেইমার গোলের খাতা খুললেন। দ্বিতীয় গোলটি পেলেন ২২ মিনিটে। এরপর ২৮ আর ৩৫ মিনিটে কাভানি ও এমবাপ্পের দুই গোল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিনটি গোল এল মার্কো ভেরাত্তি, কাভানি ও দানি আলভেসের কাছ থেকে। এটি চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজির সবচেয়ে বড় জয়।
আদ্রিয়েন র্যাবিওটের পাস থেকে কোনাকুনি শটে পিএসজিকে সমতায় ফেরান নেইমার। ২২ মিনিটে করেন নিজের দ্বিতীয় গোল। পিএসজির তৃতীয় গোলেও অবদান নেইমারের। দানি আলভেসের কাছ থেকে পাওয়া একটি বল কাঁধ ব্যবহার করে এগিয়ে দেন কাভানিকে। সেখান থেকে গোল করতে খুব অসুবিধা হয়নি উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ডের।
নেইমারের ফ্রি কিক ফেরাতে ব্যর্থ হলে এমবাপ্পে গোলটি করেন। দ্বিতীয়ার্ধ ভেরাত্তি আর কাভানির গোল স্কোরলাইনকে সমৃদ্ধ করলেও ম্যাচের সেরা মুহূর্তটি পুরোপুরি নিজের করে নিয়েছেন দানি আলভেস। ২২ গজ দূর থেকে দুর্র্ধষ এক শটে পিএসজিকে সাত নম্বর গোলটি এনে দেন আলভেস। গোলটির স্বাদ যেন পিএসজি সমর্থকদের জন্য ছিল ভূরিভোজের পর দারুণ সুস্বাদু এক ডেজার্ট।
"