ক্রীড়া ডেস্ক
ইতালির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন আনচেলোত্তি!
পাঁচ দশক পর বিশ্বকাপে নেই ইতালি। ১৯৫৮ সালের পর এই প্রথম চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল মহাযজ্ঞ। বিশ্বমঞ্চে আজ্জুরিরা না থাকায় পুরো ইতালি এখন শোকস্তব্ধ। দেশীয় ফুটবলে এত বড় বিপর্যয় বিশ্ব আগে কখনো দেখেছে কি না সন্দেহ।
৬০ বছরে টানা ১৪টি বিশ্বকাপ খেলার পর অবশেষে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে নীল রং বাদ দিয়ে। দুই লেগ মিলিয়ে সুইডেনের কাছে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন বিসর্জন দেওয়ার পর হতাশায় অবসরেরই ঘোষণা দিয়ে বসেন তিন বিশ্বজয়ী জিয়ানলুইজি বুফন, আন্দ্রে বারজাল্লি ও ড্যানিয়েলে ডি রোসি। অথচ দলের ভরাডুবির পর সবার আগে নিজের থেকেই সরে যাওয়ার কথা কোচ জিয়ান পিয়েরে ভেনতুরার। কিন্তু পদত্যাগ না করে স্বপদে বহাল থাকার ইচ্ছে পোষণ করেন তিনি।
তবে ভেনতুরার চাওয়া পূরণ হয়নি। দেশকে বিশ্বমঞ্চে তুলতে না পারার দায়ে ইতোমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে তাকে। তার বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গেই ইতালি ফুটবল ফেডারেশন (এফআইজিসি) মাঠে নেমে পড়েছে ‘বড়’ কোনো নামকে আজ্জুরিদের কোচ করে নিয়ে আসার জন্য। সভাপতি কার্লো তাভেচ্চিও জানিয়েছেন, ইতালি ফুটবলের ভবিষ্যৎ তুলে দেওয়ার জন্য বড় কোনো নামকেই খুঁজছেন তারা।
ভেনতুরাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন তাভেচ্চিও নিজেই। ২০১৬ ইউরোর পর আন্তোনিও কন্তে কোচের পদ ছেড়ে দিলে তাভেচ্চিও তুরিনোর ভেনতুরাকেই কোচ হিসেবে নিয়োগ দেন। অথচ নিয়োগের পর দুই বছরও দায়িত্ব পালন করতে পারেননি তিনি। রাজধানী রোমে ফেডারেশন ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাভেচ্চিও বলেন, ‘ভেনতুরার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বলে দিয়েছি, তাকে আর আমাদের দরকার নেই।’ এরপরই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে বসেন, ‘তাহলে কে হচ্ছেন ভেনতুরার উত্তরসূরি?’ উত্তরটা কূটনীতিক স্টাইলেই দিলেন তাভেচ্চিও। জানালেন, অবশ্যই দেশীয় কাউকে। বিশ্বজুড়ে যার খ্যাতি রয়েছে। যিনি এখন কোনো দলের দায়িত্বে নেই।’
ফেডারেশন সভাপতি সরাসরি নাম না বললেও ইঙ্গিতটা কার দিকে দিয়েছেন, সেটা আর বুঝতে বাকি নেই। ইতালিয়ান পত্রিকাগুলো আজ্জুরিদের নতুন বস হিসেবে কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলোত্তির নাম প্রকাশ করেছে। এই মুহূর্তে ইতালিকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে পারেন ভিন্ন তিনটি দলের হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা একমাত্র কোচ। স্থানীয় মিডিয়ার মতো ইতালির ছয় কোটি জনগণও যেন কোচ হিসেবে আনচেলোত্তিকেই চাচ্ছে। শিগগিরই তার সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন।
"