ক্রীড়া প্রতিবেদক
মেহেদি-তুষার-বৃষ্টির দিন
জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথমদিনের মূল চরিত্র তিনটি- বৃষ্টি, মেহেদি ও তুষার। কাল বৃষ্টি খেয়ে নিয়েছে চট্টগ্রামের অর্ধেক দিন। কক্সবাজার ও বগুড়ায় তো একটা বলও মাঠে গড়ায়নি। এই বৃষ্টিভেজা দিনে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে পাদ প্রদীপে থাকলেন মেহেদি হাসান ও তুষার ইমারান। এ যুগলের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বিশাল সংগ্রহের পথে হাঁটছে খুলনা বিভাগ। তবে রানের জন্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে চট্টগ্রামের উইকেটে। কাল রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে দিন শেষে ৪৩ ওভারে ২ উইকেটে ৬৭ রান করেছে চট্টগ্রাম বিভাগ।
অবশ্য খুলনা বিভাগের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের। শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রবিউল ইসলাম রবি ও এনামুল হক বিজয় সাজঘরে ফেরেন ৪৬ রানের মধ্যে। রবি করেন ৩ রান। আগের ম্যাচে ২৫১ রানের জুটি গড়া দুই ওপেনার ফেরার পর ধাক্কাটা সামাল দেন তুষার ও মেহেদি। শতক তুলে নিয়েছেন দুজনই। মেহেদি তো ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটাই খেলে ফেললেন। দিন শেষে অজেয় থাকলেন ১৬৫ রানে। তুষার বিদায় নিয়েছেন ১৩২ রানে। আজ দ্বিতীয় দিন উইকেটে মেহেদির সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন। তার নামের পাশে যোগ হয়েছে ৮ রান।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বিজায় ৭টি চারে ৩৬ রানে আউট হন। তবে বিজয় নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে না পারলেও পেরেছেন মেদেহি। কার ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটার তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক। এটাই তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। আগেরটা ছিল ১৪০ রানের।
তৃতীয় উইকেটে মেহেদি ও তুষার গড়ে তোলেন ২৭২ রানের দারুণ জুটি। শেষ বিকেলে তাদের জুটি ভাঙে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ২৪তম শতক পাওয়া তুষারের আউটে বিচ্ছিন্ন হয় এই জুটি। ফেরার আগে ১৯৬ বলে ১৬টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। ১৮৩ বলে তিন অঙ্কে যান মেহেদি। ক্যারিয়ারের প্রথম দেড়শ স্পর্শ করেন ২৩৬ বলে। প্রথম দিন শেষে ২৬১ বলে ১৫টি চার ও দুটি ছক্কায় ১৬৫।
তবে খুলনায় রান¯্রােত থাকলেও মন্থর ছিল চট্টগ্রামে। কাল শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দিনের অর্ধেকেরও কম সময় খেলা হয়েছে। যতটুকু হয়েছে তাতেই রান তুলতে নাজেহাল অবস্থা হয়ে ব্যাটসম্যানদের। দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিন রাজশাহীর বিপক্ষে তাদের অর্জন ৪৩ ওভারে দুই উইকেটে মাত্র ৬৭। সাজঘরে ফিরে গেছেন চট্টগ্রাম বিভাগের দুই ওপেনার জহুরুল ইমরুল করিম ও মাহবুবুল করিম। সাকলাইন সজীবের বলে জহুরুল ইসলামের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে ১৮ রান করেন ইমরুল করিম। এই রান করতে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান খেলেন ১০৭ বল। দ্রুত রান তোলা মাহবুবুল করিমকে বিদায় করেন সানজামুল ইসলাম। তবে শুরুর ধাক্কাটা সামলে উঠতে লড়াই করছেন তাসামুল হক ও ইয়াসির আলি। অজেয় থেকে দিন শেষ করেছেন দুজনই। ব্যাট হাতে ধৈর্যের চরমসীমা দেখানো তাসামুল ১০ রান করেছেন ৮৫ বল, ৮ রান করা ইয়াসির দিন শেষ করেছেন ২৪ বলে মোকাবেলার পর। বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে তাদের দিকে এখন তাকিয়ে আছে দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা বিভাগ-বরিশাল বিভাগ
খুলনা ১ম ইনিংস: ৯০ ওভার, ৩৪৮/৩ (রবি ৩, এনামুল ৩৬, মেহেদি ১৬৫*, তুষার ১৩২, মিঠুন ৮*; রবি ১/৪৫, সালমান ০/১৫, তানভীর ২/৫৪, আল আমিন জুনিয়র ০/২৬, সোহাগ ০/৯৯, মনির ০/৫৯, রাব্বি ০/২৬, নুরুজ্জামান ০/১১, রাফসান ০/১০)
চট্টগ্রাম বিভাগ-রাজশাহী বিভাগ
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৪৩ ওভার, ৬৭/২ (ইমরুল ১৮, মাহবুবুল ২২, তাসামুল ১০*, ইয়াসির ৮*; রেজা ০/১৭, শরিফুল ০/২০, মুক্তার ০/১৩, সানজামুল ১/৪, সাকলাইন ১/৭)
ঢাকা মেট্রো-সিলেট বিভাগ
কক্সবাজারে প্রথম দিনের খেলা পরিত্যক্ত
ঢাকা বিভাগ-রংপুর বিভাগ
বগুড়ায় প্রথম দিনের খেলা পরিত্যক্ত
"