ক্রীড়া ডেস্ক
নেইমার-কাভানি বিবাদ
মুখ খুললেন আলভেজ
সময়টা দারুণ কাটছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজির)। নতুন মৌসুমে জয় তুলে নিয়েছে সব ম্যাচেও। কতটা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে পিএসজি সেটা বোঝা গেছে ম্যাচের ফলগুলোতে। সবশেষ ম্যাচটায় অবশ্য বড় জয় পায়নি উনাই এমেরির দল। অলিম্পিক লিঁওকে হারিয়েছে ২-০ গোলে। কিন্তু ম্যাচের দুই গোলের একটিও করতে পারেননি আগুন ফর্মে থাকা পিএসজির আক্রমণত্রয়ী নেইমার-কাভানি-এমবাপ্পে।
কিন্তু তাদের গোলবঞ্চিত হওয়া এবং ম্যাচের ফল আড়াল করে দিয়েছে অন্য বিতর্ক। লিঁও ম্যাচে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পিএসজি পেয়েছে এটাও ঠিক, কিন্তু এলোমেলো করে দিয়েছে এমেরির সুখের সংসার। ফ্রি-কিক ও পেনাল্টি কিক নিয়েই পার্ক ডু প্রিন্সেস দেখল ত্রিমুখি বিবাদ।
লিঁও ম্যাচের ৫৭ মিনিটে ফ্রি-কিক নিতে চেয়েছিলেন এডিনসন কাভানি। কিন্তু তার হাত থেকে বল কেড়ে নিয়েছিলেন দ্যানি আলভেজ। শটটা অবশ্য পরে নেইমার নিয়েছিলেন। ম্যাচের শেষ দিকে পেনাল্টি পেয়েছিল পিএসজি, যেটি নিয়েছিলেন কাভানি। সে সময় নেইমার পেনাল্টি নিতে এগিয়ে এলেও তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কাভানি। দুটি স্পট কিকের কোনোটাতেই গোল হয়নি।
নেইমার-কাভানির বিবাদ নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখনই মুখ খুললেন পিএসজি ডিফেন্ডার আলভেজ। ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাক দাবি করলেন, ‘এ রকম জায়গা থেকে আমি আগেও গোল করেছি। আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, আরও একটা গোল করতে পারব।’ তবে আলভেজ যাই বলুন না কেন, ম্যাচের দৃশ্যটা ছিল অন্যরকম। আলভেজ বল কেড়ে নেইমারকেই দিতে চেয়েছিলেন। বোঝা যাচ্ছে, জাতীয় দলের অধিনায়ককে এ বিতর্ক থেকে আড়াল করতে চাইছেন এই ডিফেন্ডার। দলকেও এই বিতর্কের ঘোর থেকে বাইরে টেনে তুলতে চাইছেন আলভেজ। বলছেন, ‘কে শট নিল, সেটা খুবই নগণ্য ব্যাপার। দলের জয়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আর সেটা সব সময়ই ব্যক্তিগত সাফল্যের ঊর্ধ্বে থাকে।’ লিঁও বিপক্ষে জয় ছাপিয়ে বারবার আলোচনায় আসছে স্পট কিক নিতে চাওয়া নিয়ে নেইমার-কাভানির ঝগড়া। চলতি মৌসুমের সব ম্যাচে জয় পাওয়া পিএসজি রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোয় দলে এনেছে নেইমারকে। সঙ্গে এসেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিন্তু এত এত তারকার ভিড়েও মাঠের নেতা যে তৈরি হয়নি, সেটা বোঝা গেল সর্বশেষ ম্যাচে। আলভেজের কথায়ও সেটা পরিষ্কার, ‘যখন দেখবেন, ম্যাচের ফল আপনার পক্ষে যাচ্ছে না, তখন আপনাকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমি সেটাই করছিলাম।’
কে ফ্রি-কিক নেবেন বা পেনাল্টি নেবেন, সেটা অনুশীলনেই নির্ধারিত থাকার কথা। মাঠে কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে সাধারণত অধিনায়কই তা করে থাকেন। অধিনায়কের বাহুবন্ধনী অধিনায়ক হিসেবে থিয়াগো সিলভার যে ব্যক্তিত্ব, তাতে তার পক্ষেও এটা সামলানো সম্ভব না। একাধিক তারকা থাকলে ব্যক্তিত্বের সংঘাতও দেখা দিতে পারে। এখন একজন নেতাকে দরকার, যিনি সব সামলে নেবেন। সেই নেতা কে হবেন, সেটাই দেখার। তবে পিএসজি কোচ এমেরি অবশ্য এই ব্যাপারটাকে খুব গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছেন। লিঁও ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কাভানি-নেইমারকে এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পিএসজি কোচ।
"