ক্রীড়া ডেস্ক
‘সিরিজটা চ্যালেঞ্জিং হবে’
রোববার দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। সফরে আলাদা দুটি বহর গেলেও লক্ষ্য একই। টাইগারদের পরের দিন দক্ষিণ আফ্রিকায় পা রেখেছেন ওটিস গিবসন। কাল প্রোটিয়াদের ভাবি কোচ হাজির হলেন গণমাধ্যমের সামনে। যেখানে কোচিং দর্শন, দল নিয়ে তার স্বপ্ন এবং বাংলাদেশ সিরিজ নিয়ে কথা বলেছেন এই ক্যারিবীয় কোচ।
কালকের ওই সংবাদ সম্মেলনে প্রোটিয়াদের নিয়ে নিজের আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন গিবসন। দলকে বিশ্বকাপ জেতানোর এক প্রকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিশ্বসেরা দলে পরিণত করতে সবটুকু নিংড়ে দেওয়ার অঙ্গীকারও করলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার স্বপ্নটা পূরণ হবে কীনা সেটা এখনই বলা মুশকিল। আপাতত গিবসনকে ভাবতে হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা বাংলাদেশকে নিয়ে।
টাইগারদের বিপক্ষেই তার প্রথম পরীক্ষা। নিজেদের মাটিতে তার দল স্বাগত জানাবে মুশফিকুর রহিমদের। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শুরু হবে দুই টেস্টের প্রথমটি। পরিসংখ্যান নিশ্চিতভাবে এ সিরিজে এগিয়ে রাখছে স্বাগতিকদের। কিন্তু ক্যারিবীয় কোচ তার খেলোয়াড়দের সতর্ক করে দিলেন। সফরকারীদের কোনোভাবে হালকা চোখে দেখছেন না গিবসন। তাছাড়া অনেকদিন ধরেই সাদা পোশাকে খেলছে না প্রোটিয়ারা। গিবসন তাই কিছুটা চিন্তিত। বলেছেন, ‘গত কয়েক মাসে আমাদের খেলোয়াড়রা খুব বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারেনি। কাজেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে আমাদের জন্য আমাদের সেভাবেই প্রস্তুত হতে হবে।’
এমনিতে দীর্ঘ বিরতি। তারউপর ফর্মের তুঙ্গে থাকা বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে হবে। সিরিজটা যে দলের জন্য মোটেও সহজ হবে না সেটা নিজ থেকেই বললেন গিবসন, ‘আমরা ভাবছি এটা সহজ একটা সিরিজ হবে। কিন্তু আমরা না চাইলেও সিরিজটা কঠিন হবে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ কেমন খেলেছে সেটা আমরা দেখেছি। গত বছর ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরের সময় আমি ওখানেই ছিলাম। দেখেছি ওরা অনায়াসেই ইংল্যান্ডকে টেস্ট ম্যাচে হারিয়েছে। এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে ওরা খুব আত্মবিশ্বাসী। কাজেই সিরিজটা আমাদের জন্য সহজ হবে এমনটা আমরা ভাবতেই পারি না। ‘‘ওহ, বাংলাদেশ, এটা সহজ সিরিজ হবে।’’ এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।’
বাংলাদেশকে কেন সমীহ করছেন সেটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন কোচ, ‘আমি জানি ওরা কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে দিনেদিনে। ওদের দলে কোর্টনি ওয়ালশের মতো কোচিং স্টাফ আছে। এবং ওদের প্রধান কোচ তার কাজটা ঠিকঠাকই করছেন। আমরা নিশ্চিত সিরিজটা কঠিন হবে। আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারি। আমি দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডকেও বলেছি, সিরিজে আমাদের সর্বশক্তি নিয়ে নামতে হবে। তাছাড়া ইংল্যান্ডে গত আগস্টের পর আমরা আর কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলিনি।’
"