ক্রীড়া প্রতিবেদক
মোসাদ্দেকের চোখ নিয়ে শঙ্কা
দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ছে না মোসাদ্দেক হোসেনের। ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের জন্য ঘোষিত ১৪ স্কোয়াডেও। তবে চোখের সমস্যা মোসাদ্দেক হোসেনকে দলে থাকতে দিল না এক দিনের বেশি। তার চোখের সমস্যা এবং তোপের মুখে তাকে রিপ্লেস করেন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক যা বলছেন, তাতে এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের বাইরে থাকার সময়টা দীর্ঘায়িত হতে পারে আরো অনেক বেশি!
চোখের সংক্রমণ থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল মোসাদ্দেককে। কিন্তু পরদিনই তার বদলে ফেরানো হয় মুমিনুল হককে। তবে তার এই যাওয়া দীর্ঘদিনের জন্যও হতে পারে। তিন সপ্তাহ ধরে বাঁ-চোখের কর্নিয়ায় ভাইরাল ইনফেকশনে ভুগছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। পুরোপুরি সেরে ওঠার কোনো লক্ষণ নেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এই অলরাউন্ডারকে। চোখের চিকিৎসক বলেছেন আরো দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে। তাতেও পুরোপুরি সেরে না উঠলে সৈকতকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড পাঠানো হতে পারে। বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীস চৌধুরী জানালেন এমনটাই।
‘বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চোখের চিকিৎসক বলেছেন আরো কয়েকটা দিন দেখার জন্য। সময় লাগবেই, আপনি যে দেশেই নেন। তিন সপ্তাহ হয়ে গেছে। আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করব আমরা। ওর উন্নতি কিন্তু হচ্ছে। যদি দেখি খুব বেশি হচ্ছে না, তাতে হয়তো আমরা ওকে বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করব। সে ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের নাম প্রস্তাব করব।’
দেবাশীস চোখের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন এ ধরনের সমস্যায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছয় মাসও লেগে যায়। সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ও সেপ্টেম্বরে সাউথ আফ্রিকা সফরে সৈকতকে পাওয়া নিয়েও থাকবে শঙ্কা। চোখের সমস্যার কারণে এ মাসের শুরুতে চট্টগ্রামে সাত দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দিতে পারেননি সৈকত। দল ঢাকায় ফিরলে অনুশীলনে যোগ দিয়েছিলেন। রোদ বা আলোতে তাকাতে সমস্যা হচ্ছিল। অতিমাত্রায় চোখ দিয়ে পানি পড়ায় পরে তো বিশ্রামেই কাটছে তার।
"