ক্রীড়া প্রতিবেদক
‘এখনো টেনিস ভালোবাসি’
শৈশবে স্বপ্ন ছিল টেনিস খেলোয়াড় হওয়ার। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে র্যাকেটের পরিবর্তে হাতে চলে এল ব্যাট। পিটার হ্যান্ডসকম্ব শেষ পর্যন্ত হলেন ক্রিকেটার। তাই বলে টেনিসের প্রতি আবেগটা কমেনি। আছে আগের মতোই। এখনো সময় পেলে ছুটে যান টেনিস কোর্টে। উপভোগ করেন রোমাঞ্চের লড়াই। এসব লড়াইয়ে তাকে সবচেয়ে বেশি টানে তারকা রজার ফেদেরারের খেলা। স্বপ্ন দেখতেন তিনিও সুইস মহা তারকার মতো হবেন। স্বপ্নটা পূরণ হয়নি। তখনকার টেনিসটা যে মনের আনন্দে খেলতেন সেটা কাল সংবাদ সম্মেলনে বললেন অস্ট্রেলিয়ার এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, ‘একটু-আধটু টেনিস খেলতে পারি। তবে বার্নার্ড টমিচের মতো নয়। শৈশবে টেনিস খেলতাম মনের আনন্দে। টেনিসে খুব বেশি কিছু জিততে পারিনি। তবে ব্যাট হাতে কিছু রান করেছি। এখনো টেনিস ভালোবাসি। সুযোগ পেলে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দেখতে যাই।’
সংবাদ সম্মেলনের শুরুটা হয়েছিল ক্রিকেট দিয়ে। এক পর্যায়ে চলে এসেছে টেনিস প্রসঙ্গ। সেখান থেকে ক্রিকেটে ফিরতে অবশ্য সময় লাগল না হ্যান্ডসকম্বের। তার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ঢাকা টেস্ট। পাঁচদিনের এই লড়াইয়ের আগে অবশ্য দুদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল হ্যান্ডসকম্বদের। কিন্তু ভেন্যু পছন্দ না হওয়ায় ম্যাচটা না খেলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে ম্যাচটা মাঠে গড়ানোর একটা আশার আলোও দেখা দিল কাল। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ হোক না-হোক এটা নিয়ে ভাবছে না অস্ট্রেলিয়া। দলের প্রতিনিধি হয়ে কাল সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা হ্যান্ডসকম্ব সেটিই বললেন, ‘ম্যাচটা হোক বা না হোক, ভালো প্রস্তুতি নিয়েই আমরা প্রথম টেস্টটা শুরু করব। ডারউইনে দারুণ প্রস্তুতি হয়েছে আমাদের। নিজেদের মধ্যে তিন দিনের একটি ম্যাচ খেলেছি। জানি, আমাদের জন্য ম্যাচটা আয়োজনের সব চেষ্টাই করছে বিসিবি। আমরা এখানে যে অনুশীলন করব, অবশ্যই সেটা নির্ভর করবে আবহাওয়ার ওপর। দলের সবাই ভালো তৈরি থাকবে বলেই মনে করি।’ তবে সিরিজটা যে অস্ট্রেলিয়ার জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে আসছে সেটা মানছেন হ্যান্ডসকম্ব। বলেছেন, ‘ঘরের মাঠে বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী দল। সিরিজটা খুব কঠিন হবে বলে মনে হচ্ছে।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত কিছু করতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে অনভিজ্ঞতা। ৮ টেস্ট খেলা হ্যান্ডসকম্ব তা মনে করেন না। বরং এটির কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে পাচ্ছেন তিনি, ‘অন্যদের তুলনায় আমাদের উপমহাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা খুব একটা নেই। (ম্যাট) রেনশ আর আমি কিছুটা ভাগ্যবান যে ভারতে (গত মার্চে) খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম, যেটা এখানে আমাদের কাজে দেবে। আমি মনে করি না এটা খারাপ কিছু। উপমহাদেশে খেলতে যাচ্ছি খোলা মনে। উপমহাদেশে খুব বেশি খেলে না থাকলে, বল কেমন হবে, সেটি নিয়েও খুব একটা উদ্বিগ্ন থাকবেন না। সে ক্ষেত্রে আরও স্বাধীনভাবে খেলতে পারবেন।’
এদিকে প্রস্তুতি ম্যাচটা নিয়ে এখনো আশাবাদী বিসিবি। কাল সংবাদ সম্মেলনে নিজামউদ্দিন চৌধুরী যেমনটি বললেন, ‘তারা কাল (আজ) আবার ফতুল্লা মাঠটা দেখবে। মাঠ যদি তৈরি থাকে, আশা করি ২২-২৩ আগস্ট প্রস্তুতি ম্যাচটা আয়োজন করতে পারব।’
"