ক্রীড়া ডেস্ক
চ্যালেঞ্জটা নিলেন পাওলিনহো
অনেক চেষ্টার পর পাওলিনহোকে ন্যু ক্যাম্পে নিয়ে এসেছে বার্সেলোনা। মধ্য মাঠের শক্তি বাড়াতেই মূলত চীন থেকে তাকে উড়িয়ে আনা। ক্লাবের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর অভিযানে নেমে পড়েছেন পাওলিনহোও। আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠেই জানালেন, বার্সায় নিজেকে মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হবে না তার।
চীনা ক্লাব গুয়াংজু এভারগ্রান্ডে দুই বছর খেলা পাওলিনহো চার বছরের চুক্তিতে বার্সেলোনায় এসেছেন। তাকে দলে টানতে চার কোটি ইউরো খরচ হয়েছে কাতালান ক্লাবটির। টাকাটা যে গচ্চা যায়নি সেটা বোঝাই যাচ্ছে। তবে সমালোচনা আছে। বার্সেলোনার খেলার ধরনে আক্রমণাত্মক এই মিডফিল্ডার কতটুকু উপযুক্ত তা নিয়ে সংশয় আছে অনেকের মনেই। সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পাওলিনহো। পরশু ন্যু ক্যাম্পে গণমাধ্যমের সঙ্গে পরিচয়পর্বে এই ব্রাজিলিয়ান বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, বার্সায় আমি মানিয়ে নিতে পারব। আমাকে এখানে আনার জন্য তাদের সব চেষ্টা যে ঠিক ছিল তা প্রমাণ করতে পারব।’
মূলত মাঝমাঠ থেকে গোলের জোগান দেওয়াই তার কাজ। তবে ক্লাবের প্রয়োজনে যে কোনো পজিশনেই খেলতে প্রস্তুত পাওলিনহো। সমর্থকদেরও শুনিয়েছেন আশার বাণী। পাওলিনহো বলেছেন, ‘আমি জানি, বার্সার নিজস্ব একটা ধরন আছে। কিন্তু আমি মনে করি, এখানে আমি খেলতে পারি। যেখানে প্রয়োজন আমি সেখানে খেলব এবং দেখব এখানে আমার কী সুযোগ আছে। আমার লক্ষ্য দলকে শিরোপা জিততে সাহায্য করা।’
২০১৩ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়ানস থেকে টটেনহাম হটস্পারে যোগ দিয়েছিলেন পাওলিনহো। কিন্তু ইংলিশ ক্লাবটিতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। দুই বছর পর তিনি যোগ দেন গুয়াংজুতে। সেখানে দুই বছরে দুটি চায়নিজ সুপার লিগ ও একটি এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগসহ মোট ছয়টি শিরোপা জেতেন ২৯ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
এশিয়ান ফুটবল থেকে চীন ফুটবলে ফিরতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত পাওলিনহো। বার্সায় আসাটা তার কাছে স্বপ্ন পূরণের মতোই ব্যাপার। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘টটেনহামে দ্বিতীয় মৌসুমে আমার চাওয়া মতো সবকিছু হয়নি। পরে আমি চায়নিজ ফুটবলের প্রস্তাব গ্রহণ করি এবং সেখানে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই এবং শিরোপা জিতি। কিন্তু বার্সা বার্সাই এবং আমার মনে হয়, আপনি তাদের না বলতে পারেন না। এখানে খেলতে পারা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার।’
"