ক্রীড়া ডেস্ক
ভীতি ছড়ানোই লক্ষ্য কামিন্সের
মাত্র ১৮ বছর বয়সে অভিষেকেই হইচই ফেলে দিয়েছিলেন যিনি। তিনি প্যাট কামিন্স। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুটা বর্ণিল হলেও পথ চলাটা নিয়মিত করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান এ পেসার। দীর্ঘ সময় লড়াই করেছেন ইনজুরির সঙ্গে। গত মার্চে ভারতের বিপক্ষের টেস্ট দিয়েই সাদা পোশাকে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল তার। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া আসন্ন সিরিজেও থাকছেন তিনি। কিন্তু উইকেট থাকছে না তার মতো। তবু মন্থর উইকেটে ঝড় তুলতে চান কামিন্স। গতি আর বাউন্সারে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের নাকাল করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
উপমহাদেশের উইকেট সাধারণত স্পিনবান্ধব। কিন্তু স্পিনারদের রাজ্যেও তোপ দাগানোর নজির আছে তার। গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে মরুতে তুলেছিলেন ঝড়। আগাগোড়া বল করেছেন প্রায় একই গতিতে। শারীরিকভাবেও বেশ ফিট তিনি। রাঁচি টেস্টে এক ওভারেই বল করেছেন ৩৯ ওভার। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি কামিন্স শিকার করেছেন ৪টি উইকেট। পরের টেস্টে ত্রিশ ওভারে ঝুলিতে পুরেছেন আরো দুটি উইকেট। ওই টেস্ট দুটির পারফরম্যান্সই বুঝিয়ে দিয়েছে উপমহাদেশের চ্যালেঞ্জটা ভালোই নিতে জানেন তিনি।
ভারত টেস্টের পারফরম্যান্স বাংলাদেশেও বয়ে আনতে চান কামিন্স। তবে কাজটা যে সহজ হবে না সেটা তিনি নিজেও জানেন। কিন্তু নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে চান কামিন্স, ‘ভারতে উইকেটগুলোয় একটু হলেও গতি ও বাউন্স ছিল। বাউন্সটাকে আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি। বাংলাদেশে আমার মনে হয় আমাদের ভূমিকা হবে মূলত রান আটকানো। আর কখনো কখনো ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করা।’
উইকেট তার জন্য খুব একটা সহায়ক হবে না। তবু সুযোগ পেলে সেটা কাজে লাগাতে মরিয়া কামিন্স। বলেছেন, ‘বল যদি সুইং করে তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করব ব্রেক থ্রু এনে দিতে। কিন্তু এমনিতে উপমহাদেশে পেসারদের অনেক কঠিন ওভার পার করতে হয়।’
আসন্ন সিরিজে পেস আক্রমণে তার সঙ্গী জস হ্যাজলউড। যার বাউন্সারের আঘাতে পরশু বাইশ গজ ছেড়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ডারউইনে অনেকটা বাংলাদেশের মতোই মন্থর উইকেটে অনুশীলন ম্যাচ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। উপমহাদেশের কন্ডিশনের কাছাকাছি বলে বিবেচিত ডারউইনে এক সপ্তাহের ক্যাম্প করে বাংলাদেশে আসছে অস্ট্রেলিয়া। মারারা ওভালে অনুশীলন ও তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের উইকেটও যথাসম্ভব চেষ্টা করা হয়েছে বাংলাদেশের মতো করার। কামিন্স জানালেন প্রস্তুতিটা এর চেয়ে ভালো হতে পারত না। বলেছেন, ‘এখানকার কন্ডিশন অনেকটাই বাংলাদেশের মতো। এখানকারও ওরা দারুণ কাজ করেছে একই রকম কন্ডিশন গড়ে তুলতে। উইকেট একটু মন্থর ছিল বল রিভার্স করছিল। যেটা ওখানেও (বাংলাদেশে) করতে পারে।’
বাংলাদেশের উইকেট বিবেচনায় সফরে স্পিন শক্তিতে জোর দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ডারউইনে প্রস্তুতি ম্যাচেও দ্যুতি ছড়িয়েছেন অজি স্পিনাররা। কামিন্সের আশা বাংলাদেশেও উইকেট থেকে সুবিধা নিতে পারবেন সতীর্থরা। বলেছেন, ‘এখানে দিনের শেষ দিকে উইকেট ভাঙছিল, স্পিনারদের জন্য ছিল সহায়তা। আমরা যা চাই, মোটামুটি তারই প্রতিফলন ছিল এখানকার কন্ডিশনে। আশা করছি ওরা ওখানেও উইকেট থেকে সুবিধা নিতে পারবে।’
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলতে কাল ঢাকা আসছে অস্ট্রেলিয়া। মূল লড়াইয়ের আগে বাংলাদেশে একটি তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। তবে ওয়ার্নার-স্মিথরা আসার আগে তাদের একটি প্রতিনিধিদল এখন ঢাকায় আছে।
"