ক্রীড়া ডেস্ক
সাকলাইনকে কৃতিত্ব দিলেন মঈন
কদিন আগেই অ্যালিস্টার কুক তাকে বলেছিলেন, ইংলিশ ক্রিকেটের ‘আনসাং হিরো’। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষেও মিলেছে সে কথার সত্যতা। এর আগে ওভালের শততম টেস্টে হ্যাটট্রিক করে রেকর্ডবুকে জায়গা করে নিয়েছিলেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে আবারও ‘রেকর্ড’ গড়েছেন। এক সিরিজে ২৫ উইকেট ও ২৫০ রান করা অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন মঈন। তবে এক জায়গায় মঈন ‘অনন্য’, তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি এই রেকর্ড ৪ টেস্টের সিরিজে এই কাজটি করে দেখিয়েছেন।
প্রথমে ৭৬ রানের মহা মূল্যবান ইনিংস, পরে বল হাতে ৬৯ রানে ৫ উইকেট। ওল্ড ট্রাফোর্ডে মঈনের ‘অলরাউন্ড’ পারফরম্যান্সে সিরিজটা নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। সব মিলিয়ে এই সিরিজে করেছেন ২৫২ রান, নিয়েছেন ২৫ উইকেট। ইয়ান বোথামের পর দ্বিতীয় ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে এক সিরিজে ২৫ উইকেট ও ২৫০ রান করার ‘কীর্তি’ করলেন। বোথাম অবশ্য এটা দুবার করেছেন নিজের ক্যারিয়ারে। প্রথমবার ১৯৮১ সালের সেই স্মরণীয় অ্যাশেজে করেছিলেন ৩৯৯ রান, নিয়েছেন ৩৪ উইকেট। এরপর ১৯৮৫ সালের অ্যাশেজে বোথাম করেন ২৫০ রান, নেন ৩১ উইকেট।
তবে নিজের সাফল্যের কৃতিত্ব মঈন দিলেন দলের স্পিন কোচ সাকলাইন মোশতাককে। বিশ্বের সর্বকালের সেরা স্পিনারদের তালিকা করা হলে ওপরের দিকেই থাকবেন সাকলাইন মোশতাক। পাকিস্তানের হয়ে মাত্র ৪৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে ২০৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি। নিজের অভিজ্ঞতার ভা-ার দিয়ে ইংলিশ স্পিনারদের দীক্ষা দিচ্ছেন সাকলাইন। মঈন বলেন, ‘সাকি আমার ফিল্ডিং প্লেসমেন্ট এবং বোলিং বুঝতে দারুণ সহায়তা করেছে। এটি আমার জন্য অসাধারণ। কেননা, আমি আগের চেয়ে এখন দারুণ বোলিং করছি। এটাই সবচেয়ে বড় পার্থক্য।’
সেই সঙ্গে নিজেকে আগের চেয়েও বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে করেন মঈন, ‘আমি নিজের সামর্থ্যরে ওপর অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং আমি মনে করি আত্মবিশ্বাসের ভিত গড়ে উঠেছে। গত এক বছর ধরে আমি ভালো ব্যাটিং করছি এবং একই সঙ্গে বোলিংটাও ভালো হচ্ছে।’
আগের আর বর্তমান সময়ের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায় সেটাও বুঝতে পারছেন মঈন আলী। যেমনটা বলছিলেন তিনি, ‘আমি নিজের বোলিং অ্যাকশন, ফিল্ডিং সেটিংস এবং যেই ব্যাটসম্যানকে মোকাবিলা করি; এসব আগের চেয়ে ভালো বুঝতে পারছি।’
"