ক্রীড়া ডেস্ক
সাকিবের নৈপুণ্যে জ্যামাইকার জয়
সিপিএলে অনেক প্রত্যাশা নিয়েই খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব। তবে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। অবশ্য সাফল্যের জন্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে। পরের ম্যাচে ঠিকই জ্বলে উঠলেন বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য এই অলরাউন্ডার। তার অপরাজিত ৪৪ রানে ভর করে ১২ রানে জয় পেয়েছে জ্যামাইকা তালওয়াস।
টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তালওয়াস অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। এরপর নিজেদের ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান তোলে জ্যামাইকা তালওয়াস। দলীয় ১৪ রানে আউট হয়ে ফিরে যান সাঙ্গাকারা। এরপর ৫১ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন লেন্ডল সিমন্স ও ম্যাককার্থি। তবে মূল ঝড়টা চালান ম্যাকার্থি। ৪৪ বলে বিদায় নেওয়ার আগে করেন ৬০ রান। তার এই ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও তিনটি ছয়। এই ম্যাকার্থির সঙ্গেই পঞ্চম উইকেটে ৮৪ রানের বিশাল জুটি গড়েন সাকিব। এই জুটিই টিকে ছিল ১৯ ওভার পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন সাকিব। তার খেলা ৩২ বলের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও একটি ছয়। জবাবে খেলতে নেমে শেষ বলে ১৪২ রানে গুটিয়ে যায় বারবাডোস ট্রাইডেন্টস। খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বারবাডোস। শুধু কিয়েরন পোলার্ড সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন। ৩৩ বলে দুটি চার ও চারটি ছয়ের মারেই এই রান পূরণ করেন তিনি। শেষ দুই ওভারে ২৫ রান প্রয়োজন ছিল বারবাডোসের। তখন বিধ্বংসী পোলার্ডও ছিলেন ক্রিজে। কিন্তু পেসার সামির গতি ঝড়ে ওড়ে যায় সেসব। চতুর্থ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে সাজঘরে ফেরেন পোলার্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করতে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডোয়াইন স্মিথ খেলেন ৩১ বল!
সাকিব বল হাতেও এদিন ছিলেন সফল। চার ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। বল হাতে এদিন সাকিব ফেরান ওয়াইন পার্নেলকে। ১২ রান খরচ করে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন মোহাম্মদ সামি। ক্রিসমার সান্তোকি, ইমাদ ওয়াসিম ও কেসরিক উইলিয়ামস একটি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হন আন্দ্রে ম্যাকার্থি।
আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স খেলবে সেন্ট লুসিয়া স্টারসের বিপক্ষে। এই ম্যাচে খেলতে পারেন আরেক বাংলাদেশি অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ।
"