ক্রীড়া প্রতিবেদক, কক্সবাজার থেকে
মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল
তবু প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ
রোমাঞ্চের আসর শুরুর আগেই শঙ্কাটা চেপে বসেছিল। এক সপ্তাহের টানা বর্ষণ দুশ্চিন্তার ছাপ ফেলে দিয়েছিল আয়োজক ও খেলোয়াড়দের কপালে। মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালের (এমসিসি) দ্বিতীয় আসর সময় মতো শুরু হতে তো? কাল কক্সবাজারের রৌদ্দজ্জ্বোল আকাশ উত্তরটা জানিয়ে দিল। সময় মতোই শুরু হলো সাবেক ক্রিকেটারদের মিললমেলা। তবে উদ্বোধনী দিনের দুটো ম্যাচের একটিও গড়ায়নি শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। ম্যাচ দুটোর মীমাংসা হলো পাশের একাডেমি মাঠে। যেখানে একমি রাজশাহী ৪৫ রানে হারিয়েছে এক্সপো অল স্টার্সকে। অন্য ম্যাচে টাইটান্স খুলনা মাস্টার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে চিটাগং মাস্টার্স।
অবশ্য মূল মাঠে বল না গড়ালেও অখুশি নন খেলোয়াড়রা। বরং তৃপ্তির ঢেকুর তুললেন খেলতে পেরে। ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের আশা- বাকি তিন দিনের পরিবেশটা এমনই থাকবে। তিনি বলেছেন, ‘এবার টুর্নামেন্টটা আরো ভালো হবে এটাই আশা করি। আল্লাহ অনেক দয়ালু যে আজকে (বুধবার) রোদ দিয়েছেন। আশা করছি পুরো টুর্নামেন্টে এ রকম রোদ থাকবে। চেষ্টা করব টুর্নামেন্টটা সফলভাবে শেষ করার।’
এখানে মাঠের লড়াইটা গৌন একটা ব্যাপার। মুখ্য উদ্দেশ্য সাবেক খেলোয়াড়দের মিলনপর্বটা। আয়োজককর্তা হিসেবে সুজন যথার্থই বললেন, ‘খেলাটা এখানে একটা মাধ্যম। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এটা একটা মিলনমেলা।’
ক্রিকেট উৎসবে এসে সুজন আবেগাপ্লুত। অতীতের দিনগুলোর আনন্দটা খুঁজে নিলেন এখান থেকেই ‘এখানে আসলে ভালো লাগে। সবার সাথে দেখা হয়। আমরা একসাথে সতীর্থ হিসেবে খেলেছিলাম অনেক বছর। অনেক বছর এক সাথে কাটিয়েছি।’
সুজনের কথার প্রতিচ্ছবি পাওয়া গেল একমি রাজশাহী অধিনায়ক খালেদ মাসুক পাইলটের কণ্ঠে। টাইগার এই কিংবদন্তি বলেছেন, ‘আমরা এখানে একশর মতো খেলোয়াড় আছি। এটা সাবেক ক্রিকেটারদের মিলন মেলা। সবাইকে দেখতে পাচ্ছি। খুব ভালো লাগছে।’ সুজন-পাইলট দুজনের ভালোলাগাটাই মাঠের বাইরে। ভেতরে ভেতরে ঠিকই প্রতিদ্বন্দ্বীতা চলছে তাদের মধ্যে। ‘পাইলট অ্যান্ড গং’ তো দুদিন আগে থেকেই নিজেদের প্রস্তুত করে তুলছেন! মূলত জয়ের তাড়নাতেই এখনো পেশাদারি মনোভাব রয়ে গেছে তার। জাতীয় দলের সাবেক উইকেটরক্ষক বলেছেন, ‘এখনো আমাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতার ভাবটা আছে। জেতার তাড়না আছে। হয়তো শারীরীকভাবে আমরা এখন একটু দুর্বল। তবে মানসিকভাবে আমরা আগের মতোই রয়ে গেছি।’
"