ক্রীড়া প্রতিবেদক
ওয়ালশ এখন আশাবাদী
কোর্টনি ওয়ালশকে ঘিরে যতটা আশা করা হয়েছিল সেটার প্রতিফলন ঘটেনি। স্বাভাবিকভাবেই সমলোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছেন ক্যারিবীয় কোচ। তাতে রীতিমতো বিব্রত বাংলাদেশের বোলিং কোচ। প্রত্যাশিত ফল উপহার দিতে না পারার স্বপক্ষে যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন তিনি। নতুন করে শোনাচ্ছেন আশার বাণী।
সাম্প্রতিককালে বোলিং আক্রমণে স্বরূপে নেই বাংলাদেশ। ছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না তাসকিন-মুস্তাফিজরা। তাদের ব্যর্থতার দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে গুরু ওয়ালশকে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতেই প্রত্যেক বোলারকে আলাদাভাবে সময় দিচ্ছেন তিনি। তবে এভাবে কাজ করার সময়টা আগে পাননি ক্যারিবীয় কোচ। এখন পেয়েছেন। মুস্তাফিজ-মাশরাফি-তাসকিনদের দিয়ে এই সময়টাই কাজে লাগাতে মরিয়া ওয়ালশ।
গত মাসে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্বপ্নযাত্রা শেষে ছুটিতে গেছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও সহকারী কোচরা। তারা এখনো ফেরেননি। কিন্তু ওয়ালশ ফিরে এসেছেন বেশ কয়েক দিন আগেই। টাইগারদের ফিটনেস ক্যাম্পের শুরু থেকেই কাজ করছেন। নিজের পাঠশালায় আলাদাভাবে প্রত্যেককে ডেকে এনে নির্দেশনা দিচ্ছেন বদলে যাওয়ার।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে থেকেই টানা ব্যস্তসূচিতে নাভিঃশ্বাস হয়ে উঠেছিলেন টাইগাররা। আফগানিস্তান সিরিজ, ইংল্যান্ড সিরিজ, বিপিএল, অস্ট্রেলিয়া হয়ে নিউজিল্যান্ড সফর, সেখান থেকে ভারতের ঝটিকা সফর শেষে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। ছিল ঘরোয়া ক্রিকেটেও ব্যস্ততা। তারপর ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডে প্রায় দুই মাসের সফর। ছাত্রদের নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করার সময়টা কোথায় পেলেন ওয়ালশ! কিন্তু তিনি নির্ভার হয়ে কাজ করতে না পারলেও সমলোচনা থেমে নেই। তাতে বিরক্ত ওয়ালশ। বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, ওদের সঙ্গে সিরিয়াস কাজ করার সুযোগ এই প্রথম পেলাম। আমি আসার পর থেকেই ওরা টানা খেলার মধ্যে ছিল। খেলার সময় বাড়তি কিছুর চেষ্টা করা কঠিন। অনেকেই যেভাবে বলছে বা লিখছে যে আমি কারো অ্যাকশন বদলে দিয়েছি বা এই ধরনের কিছু, সেই ধরনের কিছুই হয়নি। আমরা ¯্রফে চেষ্টা করছি সাহায্য করতে ও অনুপ্রেরণা জোগাতে।’
গত কয়েক মাসে দলের সঙ্গে থেকে ছাত্রদের যে ঘাটতিগুলো দেখেছেন সেটা পূরণ করার সুযোগটা এখনই দেখছেন ওয়ালশ। বলেছেন, ‘যে ভুলগুলো আমি দেখেছি, সেসব শোধরানোর সুযোগ এখন। এই কারণেই আমি একটু আগে ফিরেছি। ওদের সঙ্গে কাজ করে ভুলগুলো যতটা সম্ভব শুধরে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে। খেলার মধ্যে থাকলে বড় কোনো পরিবর্তন করা কঠিন।’
অবশ্য এখন সময় পেলেও সেটার শতভাগ কাজে লাগাতে পারছেন না ওয়ালস। টানা বর্ষণ ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে তার কাজে। তাই যতটা অগ্রগতি হওয়ার কথা ছিল সেটা হয়নি বলে মনে করছেন ওয়ালশ, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আবহাওয়া বেশ বাজে। যতটা হলে ভালো হতো, ততটা অগ্রগতি তাই হয়নি। তবে আমরা সময় নষ্ট করছি না। সুযোগ পেলেই আউটডোরে অনুশীলন করছি। ইনডোরে একসঙ্গে বসছি, ক্রিকেট নিয়েই কথা বলছি। চেষ্টা করছি যেন ক্রিকেট মস্তিষ্ক আরো ক্ষুরধার করে তোলা যায়।’
"