ক্রীড়া ডেস্ক
সমতায় দক্ষিণ আফ্রিকা
জয় প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু আন্দিলে ফেলুকওয়ায়ো নামে অখ্যাত এক খেলোয়াড়ের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হলো ইংল্যান্ডকে। শেষ ওভারে তার দারুণ বোলিংয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭ উইকেট হাতে নিয়েও শেষ ৫ ওভারে ৪২ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি ইংল্যান্ড।
তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচে ৩ রানের জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রোববার কার্ডিফে হবে তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারণী শেষ টি-টোয়েন্টি। জয়ের জন্য শেষ বলে দরকার ছিল ৪ রান। আগের বলে চার হাঁকিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখা লিয়াম ডসন এবার সফল হননি। ফেলুকওয়ায়োর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে সিরিজে টিকে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। টনটনের কাউন্টি মাঠের অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৬ উইকেটে ১৭১ রানে থামে ইংল্যান্ড।
জেজে স্মাটস ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটে শুরুটা ভালো ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। দুই জনের চমৎকার ব্যাটিংয়ে ১১ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৬ রানের দৃঢ় ভিত পায় অতিথিরা। ৩৫ বলে ৪৫ রান করেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান স্মাটস। আগের ম্যাচে ‘মন্থর’ ব্যাটিং করা ডি ভিলিয়ার্স এবার ছিলেন স্বরূপে। অধিনায়ক ফিরেছেন ২০ বলে ৪টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪৬ রান করে। শেষের দিকে দ্রুত উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকাকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন ফারহান বেহারদিয়ান। ২১ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে করেন ৩২ রান। মাত্র একটি বলই খেলেন ড্যান প্যাটারসন। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শেষ বলে চার হাঁকান তিনি। নিজেদের শেষ বলে সেই কাজটিই করতে পারেননি ডসন। অভিষেকে ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন টম কুরান। ২ উইকেট লিয়াম প্লানকেট। শুরুতেই স্যাম বিলিংসকে হারানো ইংল্যান্ডকে কক্ষপথে রেখেছিলেন জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। দুই জনের ১১০ রানের জুটিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয়ের আশা জাগিয়েছিল স্বাগতিকরা। ৩৭ বলে ৪৭ রান করা বেয়ারস্টোকে আউট করে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন ক্রিস মরিস। তার পরের ওভারে ফিল্ডিংয়ে বাধা দিয়ে আউট হন ছন্দে ফেরা রয়। মূলত রয়ের অভূতপূর্ব আউটিই বদলে দেয় ম্যাচের দৃশ্যপট।
"