ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৪ জুন, ২০১৭

প্রস্তাবিত টেস্ট লিগ

বাংলাদেশের জন্য সুখবর

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আরো এগিয়ে নিতে নতুন প্রকল্প সামনে এনেছে আইসিসি। আইসিসির প্রধান নির্বাহী কমিটি টেস্ট এবং ওয়ানডে লিগের জন্য কার্যকরী সময়সূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পরপরই টেস্ট লিগ শুরু হতে পারে। তবে এই লিগ চালু হলে সেখান থেকে সবচেয়ে বড় সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। তখন বাংলাদেশকে আর টেস্ট খেলার জন্য আফসোস করতে হবে না। তবে এই লিগের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জিম্বাবুয়ে। তারা লিগ খেলার সুযোগ পাবে না। ওয়ানডে ও টেস্ট লিগ বাস্তবায়ন হওয়াটা এখন কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। আইসিসির প্রধান নির্বাহীদের কমিটির আলোচনা সভা শেষে ওয়ানডে ও টেস্ট লিগের সম্ভাব্য সূচিও তৈরি হয়েছে। তবে এ লিগ শুরুর জন্য অন্তত আরো দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে। এই লিগ শুরুর সম্ভাব্য সময় ২০১৯ বিশ্বকাপের পর। নতুন টেস্ট লিগ বিশ্বকাপের পর শুরু হলে চলবে পরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত। চার বছরের প্রস্তাবিত এ টেস্ট লিগের সূচিতে বাংলাদেশ খেলবে ১২ টেস্ট সিরিজ।

২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৯টি দলই খেলবে ১২টি সিরিজ। খেলা হবে মূলত হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে হবে এগুলো। জিম্বাবুয়ে এবং দুই নতুন টেস্ট দল আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান এ লিগের অংশীদার হবে না। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশই অংশ নেবে এ লিগে।

ক্রিকইনফোর পোস্ট করা এক ছবিতে দেখা যায়, দলগুলোর প্রস্তাবিত টেস্ট সিরিজের সূচি প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো সিরিজ ফেলা হয়নি বাংলাদেশের। প্রত্যেক সিরিজ কমপক্ষে ২ ম্যাচের হবে।

চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশ একটি করে সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এ ছাড়া প্রত্যেকের বিপক্ষে হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দুটি টেস্ট সিরিজ খেলবে টাইগাররা। আইসিসির নির্ধারিত সেই সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, হোম ভেন্যুতে। আর ২০২৩ সালে এ সূচির ভিত্তিতে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এ ছাড়া আইসিসির ওয়ানডে লিগেও বাংলাদেশের জন্য থাকছে সুখবর। এখানে ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলবে ৮ সিরিজ। এ লিগ হবে ১৩ দেশকে নিয়ে। র‌্যাঙ্কিংয়ের ওপরের দিকে থাকা ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড ছাড়াও বাংলাদেশ মোকাবিলা করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে। দুই বছরে প্রত্যেক দল চারটি করে সিরিজ খেলবে হোম ও অ্যাওয়ে ভেন্যুতে।

পয়েন্টের ভিত্তিতে হবে লিগ, যেখানে আইসিসি প্রস্তাব করেছে তিন ম্যাচ সিরিজের। টেস্ট লিগ চালু হলেও বিভিন্ন দেশ নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অ্যাশেজের মতো ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে দলগুলো চাইলে আরো ম্যাচ খেলতে পারবে, কিন্তু সেই পয়েন্টগুলো যোগ হবে না লিগে। প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে। এরপর ওই বছর আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে তারা। পরের বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা আসবে বাংলাদেশে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশের ওয়ানডে লিগ।

অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের মতো আয়ারল্যান্ড এবং আফগাস্তিানও লিগের বাইরে থাকবে। এই তিন দেশ নিজেদের মধ্যে টেস্ট সিরিজ আয়োজন করতে পারবে। শীর্ষ ৯ দলের শিডিউল ফাঁকা থাকলেও তাদের বিপক্ষে তারা খেলতে পারবে। এ ছাড়া এই লিগ চালু হলে বাংলাদেশের জন্য যেমন ভালো তেমন খারাপও হতে পারে। টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে জিম্বাবুয়ের আগে থাকলে সমস্যা নেই। তাতে লিগের অংশ হতে পারবে মুশফিকুর রহিমের দল। কিন্তু জিম্বাবুয়ে টাইগারদের টপকে গেলেই বিপদ। অবনমন হবে বাংলাদেশের।

এ ছাড়া নতুন প্রস্তাব বাস্তবায়নের পথে সবচেয়ে বড় সমস্যা বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগের প্রসার। ফ্রাঞ্চাইজি লিগের ভিড়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচের সূচি ঠিক রাখাই দায় হয়ে পড়ে। আইসিসির সভায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist