খেলা প্রতিবেদক
ফিরেই নাসিরের সেঞ্চুরি
ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ছিলেন নাসির হোসেন। টাইগার অলরাউন্ডার দ্যুতিও ছড়িয়েছেন শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দলে ঠাঁই না পাওয়ায় দেশে ফিরে এসেছেন নাসির। ফিরেই কাল ঢাকা লিগে খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ১৩৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। অধিনায়কের ব্যাটে চড়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স করেছে ৫ উইকেটে ৩৫০ রান।
ফতুল্লায় নাসিরের ইনিংসটি আরো বড় হতে পারত, তবে আহত-অবসর হয়ে মাঠ ছাড়ায় তা আর হয়নি। তার ১৩৪ রানের ইনিংসটি খেলতে নাসির খরচ করেছিলেন ১১৩টি বল। ৭টি চারের পাশাপাশি মেরেছেন ৬টি ছক্কাও মেরেছে বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। নাসিরের ১৩৪ রানের পাশাপাশি গুরকিরাত সিংয়ের ৭৪ (৬০ বল) আর মুমিনুল হকের ৬৬ রানেই (৬১ বল) ৩৫০ রানের পাহাড় গড়েছে গাজী ক্রিকেটার্স।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে গাজী ক্রিকেটার্স। দলীয় ৭ রানেই ফেরেন ফর্মে থাকা এনামুল হক। এরপর মুনিম শাহরিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে মুমিনুল ৭৪ রানের এক জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন। মুনিম আউট হন ৩৫ রানে। দলের রান তখন ৮১। তৃতীয় উইকেটে নাসির ও মুমিনুল জুটিতে আসে ৪৪ রান। মুমিনুল ৬১ বল খেলে ৬৬ রান করে ফেরেন। তবে গুরকিরাত সিংয়ের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে মাত্র ১২৯ বলে ১৪৭ রান যোগ করে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান নাসির। ষষ্ঠ উইকেটে সোহরাওয়ার্দী শুভর সঙ্গেও ৫৬ রান তোলেন নাসির। গুরকিরাত ৬০ বলে করেন ৭৪।
গাজী ক্রিকেটার্সের রান-উৎসবের দিনে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শেখ জামালের জিয়াউর রহমান ও ইলিয়াস সানি।
৩৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৭৩ রানেই গুটিয়ে গেছে শেখ জামাল। ১৭৩ রানের বড় হারে শেখ জামালের সর্বোচ্চ রান জিয়াউর রহমানের ৪৬। এ ছাড়া প্রশান্ত চোপড়া করেছেন ৩৭, রাজিন সালেহ ও রাসেল আল মামুন করেছেন ২৫ করে।
গাজী ক্রিকেটার্সের বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষকে। ৩৫ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই পেসার। দুটি শিকার করেছেন গুরকিরাত। ২৭ রান খরচ করেছেন তিনি। খালি হাতে ফেরেননি শুভাগত হোমও। ৩৪ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন তিনি।
"