আট মাস পর শুরু হবে যুব বিশ্বকাপ। তার আগে ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। জুনের শেষ সপ্তাহে এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এক মাসের ক্যাম্প। এ ক্যাম্প শুরুর আগেই জানানো হয়েছিল যুব দলের জন্য এবারও থাকছে বিদেশি কোচ। সেই ধারাবাহিকতায় যুবাদের জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে ড্যামিয়েন রাইটকে। গত বছর যুবাদের দায়িত্বে ছিলেন মাশরাফিদের সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল। রাইটের অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলে খেলার সুযোগ না হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ছিলেন নিয়মিত মুখ। খেলোয়াড় জীবন ছেড়ে কোচিংয়ে নাম লিখিয়েছেন বছর ছয়েক হলো। একটু একটু করে অভিজ্ঞতার ভা-ার সমৃদ্ধ করা এই অস্ট্রেলিয়ান বিগ ব্যাশেও করিয়েছেন কোচিং। মেলবোর্ন স্টারস এবং হোবার্ট হ্যারিকেনসে দায়িত্ব পালন করেছেন রাইট।

বিগ ব্যাশের পর এবার তিনি দায়িত্ব নিলেন বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দলের। ঢাকায় এসেছেন পরশু রাতে। গতকাল দুপুরে বিসিবিতে এসেই ড্যামিয়েন রাইট ঢুঁ মারলেন একাডেমি ভবনে। সেখানে তার অপেক্ষায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। পরিচিতি পর্ব সেরে যুবাদের নতুন এ অস্ট্রেলিয়ান কোচ জানালেন, জিততে চান আগামী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। অন্য কোনো খেলায় প্রশ্নই নেই। ক্রিকেটেই একমাত্র বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে ‘বৈশ্বিক’ শিরোপার। গত বছর ঘরের মাঠে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশের যুবারা। কিন্তু শিরোপার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় সেমিফাইনালে। সন্তুষ্ট থাকতে হয় তৃতীয় স্থান নিয়ে। এবার পরীক্ষাটা আরো কঠিন। এ টুর্নামেন্টে ভালো করার লক্ষ্যে বিসিবি নিয়োগ দিয়েছে রাইটকে। তার চুক্তি আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তাসমানিয়া, ভিক্টোরিয়া ও ইংলিশ কাউন্টি দল গ্ল্যামরগান, নর্দাম্পটনশায়ার, সমারসেট, সাসেক্স ও উস্টারশায়ারের হয়ে ১২৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা এই ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার খেলা ছাড়েন ২০১১ সালে। এরপর থেকেই জড়িয়ে আছেন কোচিংয়ের সঙ্গে। বোলিং-কোচ হিসেবে কাজ করেছেন নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলে। বিসিবি জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডে যুব বিশ্বকাপ হওয়ার কারণেই রাইটকে কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া। ৪১ বছর বয়সী এ অস্ট্রেলিয়ান কোচ আশাবাদী, যে কন্ডিশনেই খেলা হোক, বাংলাদেশকে বড় সাফল্য এনে দিতে চান তিনি, ‘অবশ্যই জেতা (শিরোপা) সম্ভব। আপনি কোথায় খেলছেন, সেটা কোনো বিষয় নয়। ব্যাপার হচ্ছে, দল কত দ্রুত কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। আমরা যেন তৈরি হয়ে যেতে পারি সেটা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা যেকোনো কন্ডিশনে জিততে পারি।’

"