খেলা ডেস্ক
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টিকে থাকার লড়াই
দেশের বাইরে নিউজিল্যান্ডকে কখনোই হারাতে পারেনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ব্ল্যাকক্যাপসদের হারানোর একটা সুযোগ পেয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু পরশু দারুণ সুযোগটা হাতছাড়া করেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। দ্বিতীয় সারির দলটার কাছে মাশরাফি বিন মর্তুজারা হেরে গেছেন ৪ উইকেটে। এই হারে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তাই জয়ের বিকল্প নেই অতিথিদের সামনে।
অবশ্য ডাবলিনে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। কিন্তু উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর খুড়িয়ে চলতে থাকে টাইগাররা। অর্ধশতক তুলে নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। ৮ রানর জন্য হাফসেঞ্চুরি পাননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এই চারজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৯ উইকেটে ২৫৭ রানের লড়াকু পুঁজি সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পুঁজিটা আগলে রাখতে পারেননি টাইগার বোলাররা। পারফরম্যান্সে ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু মুস্তাফিজুর রহমান। মাঝারি মানের সংগ্রহ নিয়েও জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাঁ-হাতি পেসারের দুর্দান্ত বোলিং।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাই স্বাভাবিকভাবেই মুস্তাফিজ বন্দনা করেছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। তবে হারের দায় কারোর উপর চাপাননি ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ব্যর্থতার দায়ও সবার আগে নিজের কাঁধেই নিলেন তিনি।
অবশ্য অধিনায়কের হারের দায় নেওয়াটাও একেবারে অমূলক নয়। কারণ পরশু সবচেয়ে বাজে বোলিং হয়েছে তারই। অনেকবার প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য এনে দেওয়া মাশরাফি এদিন প্রথম তিন বলেই হজম করেন চার ও ছক্কা। সুবিধা করতে পারেননি পরেও। ম্যাচ শেষে মাশরাফির সরল স্বীকারোক্তি, ‘শুরুর দিকে বোলিং আরও ভালো হতে পারত, বিশেষ করে আমার। সাকিব ভালো করেছে। আমি পারিনি। ব্যাটিংয়ে আমাদের ২০ রানের ঘাটতি ছিল। জুটি গড়েছি আমরা, কিন্তু বড় করতে পারিনি। আউট হয়ে গেছি।’
বৃষ্টির কারণে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পরীক্ষা দিতে হয়নি বাংলাদেশকে। আজ সেটা দিতে হচ্ছে। আগের ম্যাচে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে উন্নতির অবকাশ দেখছেন মাশরাফি। বলেছেন, ‘সব জায়গায়ই উন্নতি করতে হবে। ফিল্ডিং অবশ্য আজকে (পরশু) ভালোই ছিল। কিন্ত ব্যাটিং ও বোলিং ভালো করতে হবে। আজকে (পরশু) যেমন বলেছি, ২০ রানের মতো কমতি ছিল। বোলিংয়ে শুরুতে উইকেট নিতে হবে।’
"