ক্রীড়া ডেস্ক

  ১২ আগস্ট, ২০২০

ম্যানইউ ১-০ কোপেনহেগেন

পেনাল্টিতে রক্ষা ম্যানউইয়ের

সতীর্থ আন্দ্রেয়া বিয়েলান্ডের ওপর রাগ হতেই পারে কার্ল ইয়োহান জনসনের। হবে না-ই বা কেন? গোটা ম্যাচ জুড়ে একের পর এক সেভ দিয়ে যেখানে জনসন একাই দলের ইউরোপা-স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখছিলেন, সেখানে বিয়েলান্ডের এক শিশুতোষ ভুলেই সকল পরিশ্রম ধুলায় মিশে গেল।

পরশু রাতে ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ডেনমার্কের ক্লাব এফসি কোপেনহেগেনকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। পুরো ৯০ মিনিট ধরে একের পর এক সেভ দিয়ে খেলাটাকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে গিয়েছিলেন কার্ল ইয়োহান জনসন। ওই অতিরিক্ত সময়েই ঘটেছে বিপত্তি। ৯৫ মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে ইউনাইটেডের ফরাসি স্ট্রাইকার অ্যান্থনি মার্শিয়ালকে অন্যায়ভাবে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিলেন সেন্টারব্যাক আন্দ্রেয়া বিয়েলান্ড। সেটি থেকে পাওয়া পেনাল্টিতে গোল করতে একবারেই সমস্যা হয়নি দলের পর্তুগিজ তারকা ব্রুনো ফার্নান্দেসের।

এই এক কার্ল ইয়োহান জনসন বাধা হয়ে না দাঁড়ালে হয়তো পরশু হেসেখেলেই জিততে পারত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ব্রুনো ফার্নান্দেসের একটা শক্তিশালী হেড ক্রসবারে লেগেছে। অ্যান্থনি মার্সিয়ালও সুযোগ পেয়েছেন গোটা ম্যাচজুড়ে বেশ কয়েকটা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল বাতিল হয়েছে তরুণ ইংলিশ স্ট্রাইকার মেসন গ্রিনউডের।

কিন্তু ওই যে, এক কার্ল ইয়োহান জনসন ছিলেন চীনের প্রাচীর হয়ে। ইউরোপা লিগের এক ম্যাচে এর আগে কেউ কখনো ১৩টা সেভ করেননি। শেষমেশ অতিরিক্ত সময়ে বিয়েলান্ডের ওই এক ভুলের সাঙ্গ হয়েছে জনসনের সকল আয়োজন।

এই মৌসুমে এই নিয়ে ২১ বার পেনাল্টি পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে ইউনাইটেডের চেয়ে বেশি পেনাল্টি পাওয়ার রেকর্ড এবার নেই কোনো দলের। একের পর এক সেভ করলেও ৯৫ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেসের নিখুঁত পেনাল্টির কোনো জবাব জানা ছিল না জনসনের। সেমিফাইনালে ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ সেভিয়া ও উলভারহ্যাম্পটনের মধ্যকার জয়ী দল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close