ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৬ জুলাই, ২০২০

বিসিবির অ্যাপে জাহানারার তৃপ্তি

করোনাভাইরাসের দাপটে বিশ্বই যখন দিশেহারা, প্রতিদিনই নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যুর খবর আসছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তামাম দুনিয়ার মানুষ, ঠিক তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য নিয়ে এসেছে ‘কোভিড-১৯ ওয়েল বিয়িং অ্যাপ’ নামক দারুণ এক প্রযুক্তি। যে প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিদিনই নিজেদের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা বোর্ডের মেডিকেল টিমকে জানাতে পারছেন নারী দলের ক্রিকেটাররাও। দারুণ কার্যকরী এই অ্যাপ ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন নারী দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশসেরা প্রমীলা পেসার জাহানারা আলম। গতকাল গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এই সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন তিনি।

ইদানীং সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে জাহানারা আলমের মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। শব্দ শুনে বাঘিনি তারকা বুঝতে পারেন বিসিবির নোটিফিকেশন এসে গেছে, স্বাস্থ্যের আপডেট দিতে হবে। ‘কোভিড-১৯ ওয়েল বিয়িং অ্যাপ’-এর সৌজন্যে জাহানারাও চট করে নিজের স্বাস্থ্যের খবর ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাকে জানিয়ে দিয়ে দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মহামারিকালে দারুণ নির্ভরতায় শুরু হয় তার দিন। আর যাই হোক স্বাস্থ্য নিয়ে তো আর দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে ২৭ বছর বয়সি পেসার বলেন, ‘করোনার পরিস্থিতিতে কেমন আছি এটা জানতে বিসিবি যে অ্যাপ চালু করেছে, আমার কাছে মনে হয় এটা একটা অনেক ভালো একটি উদ্যোগ। এমন দারুণ একটি সিস্টেমের আওতায় আসতে পেরে আমার নিজের কাছে খুবই ভালো লাগছে। কারণ আমি আমার স্বাস্থ্যের প্রতিদিনের আপডেট দিতে পারছি। সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে একটা নোটিফিকেশন পাচ্ছি। এরপর আমরা আমাদের সুবিধা মতো সেটার ফিডব্যাক দিতে পারছি। এতে করে বিসিবি যেমন জানতে পারছে প্লেয়াররা কে কোন অবস্থার মধ্যে আছে, কারো কোনো শারীরিক সমস্যা আছে কিনা; আমরাও নির্ভার থাকতে পারছি।’

প্রসঙ্গত, কারোনাকালে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যগত বিষয়ের প্রতিদিনের আপডেট জানতে ২৪ জুন থেকে ‘কোভিড-১৯ ওয়েল বিয়িং অ্যাপ’ চালু করেছে বিসিবি। এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ৪০ জন ক্রিকেটার বিসিবির ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের তৈরি কেন্দ্রীয় সার্ভারে যুক্ত হয়েছেন। নিজ নিজ মোবাইলে ডাউনলোড করা অ্যাপে প্রতিদিন বিসিবি থেকে ৮টি প্রশ্ন পেয়ে থাকেন ক্রিকেটাররা। তাদের দেওয়া উত্তর সার্ভারে জমা হয়। সেই উত্তরের মাধ্যমে ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন মেডিকেল টিম বুঝতে পারে কার শরীরের কী অবস্থা। পরে মেডিকেল বিভাগ তদানুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।

প্রাথমিকভাবে এর আওতায় পুরুষ ক্রিকেটাররা থাকলেও গত সপ্তাহে যুক্ত হয়েছেন জাহানারা। এরপর পর্যায়ক্রমে হাইপারফরম্যান্স স্কোয়াড এবং বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের সদস্যরাও অ্যাপটির আওতায় আসবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close