উয়েফার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের আইন ভাঙায় দুই বছরের জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল ক্রীড়া আদালতে। আপিলের পর রায় এসেছে সিটির পক্ষে, নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে তাদের। আগামী মৌসুমে তাই চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে বাধা নেই সিটির। তবে ১০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ১০৭ কোটি টাকা) জরিমানা দিতে হচ্ছে তাদের।

গত জুনে উয়েফার এই নিষেধাজ্ঞা বড় একটা ধাক্কা হয়ে এসেছিল ম্যানসিটির। ২০১১-১২ মৌসুম থেকে আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতার জন্য ফিন্যান্সিয়াল পাওয়ার প্লে চালু করেছিল উয়েফা। এই নীতির উদ্দেশ্য ছিল অর্থ লেনদেনে যাতে ক্লাবগুলো স্বচ্ছতা রাখে, কোনো ক্লাব যেন অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগ করতে না পারে যেন খেলোয়াড়দের বেতন ও দলবদলে বিরূপ প্রভাব না ফেলে। ক্লাবগুলো যেন নিজেদের আয় দিয়েই চলতে পারে। সিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তারা স্পন্সর থেকে পাওয়া অর্থের বিষয়ে স্বচ্ছতা রাখেনি। ২০১৮ সালে জার্মান দৈনিক ‘দের স্পাইজেল’ উয়েফার বেশ কিছু দলিল ফাঁস করে। এরপর থেকেই সিটির দিকে তীর আসতে থাকে। সেখানে দেখা গেছে, ম্যানচেস্টার সিটির মালিক শেখ জায়েদ ক্লাবের পেছনে বছরে যে অর্থ খরচ করেন, সেই অংকটা ৬৭ মিলিয়নের মতো। অথচ আরেকটি দলিলে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ সালে ইতিহাদের নামে সিটিতে ব্যয় করা হয়েছে ৮ মিলিয়ন, বাকিটা এসেছে জায়েদের নিজস্ব কোম্পানি আবুধাবি ইউনাইটেড থেকে। তথ্যের এই গরমিলের জন্য শাস্তি হয়েছিল সিটির।

তবে সিটি এই রায়ের পরেই সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) আপিল করে। তাদের দাবি ছিল তারা কোনো রকম অস্বচ্ছতার আশ্রয় নেয়নি। এরপর সিএএস তাদের রায়ে জানিয়েছে, তারা স্পন্সর থেকে সিটির পাওয়া অর্থে কোনো অনিয়ম খুঁজে পায়নি। তবে উয়েফার সঙ্গে তারা ঠিকমতো সহযোগিতা করেনি। সেজন্য তাদের জরিমানা গুণতে হয়েছে। যদিও সেটা ৩০ মিলিয়ন থেকে নেমে ১০ মিলিয়ন পাউন্ডে এসেছে।

কয়েক দিন আগেই ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা বলেছিলেন, আপিলের রায় সিটির পক্ষে যাবে বলে তিনি বেশ আশাবাদী। তার কথাই সত্যি হলো। এই মৌসুমে দুইয়ে থাকা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে সিটি। তাদের নিষেধাজ্ঞা থাকলে লিগে পাঁচে বা ছয়ে থাকা ক্লাবের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটা এখন হচ্ছে না।

"