ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৪ জুলাই, ২০২০

মন ভেঙেছে মিঠুনের

পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ২০২০ সালটা হতে পারত বাংলাদেশের বছর। এ বছরের শুরুতে বিশ্বকাপ জিতেছে টাইগার যুবারা। আকবর আলী, তৌহিদ হৃদয়দের সামনে ছিল নিজেদের আরো শানিত করার সুযোগ। এ বছরই সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা ছিল মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হকদের। চলতি বছরই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরবেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রবল দাপটে সবকিছুই ওলট-পালট হয়ে গেছে।

একে একে বাংলাদেশের পাঁচটি সিরিজ স্থগিত হয়ে গেছে। প্রথমে পাকিস্তান সফরের তৃতীয় ধাপ, এরপর আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজটিও স্থগিতাদেশ দেখল। তবে দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলো স্থগিত হলেও জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই আশা করেছিলেন অন্তত এশিয়া কাপ মাঠে গড়াবে। শেষমেশ সেটাও যখন স্থগিত হয়ে গেল, তখন তাদের অনেকেরই মন ভেঙেছে; ভর করেছে হতাশা।

সেই ভাঙা মনের ক্রিকেটারদের একজন মিঠুন আলী। সবকিছু স্থগিত হওয়ার পর অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও যখন একই পরিণতির অপেক্ষায়, তখন মিঠুন ধরেই নিয়েছেন তার ও বাংলাদেশের জন্য বছরের বাকি সময়টা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটহীন হতে চলেছে। তবে খেলতে না পারার হতাশার মধ্যেও কিছুটা আশাবাদী তিনি। জাতীয় দলের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের প্রত্যাশা, শিগগিরই তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন। ক্রিকেট থেকে লম্বা বিরতির কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অবিলম্বে তাদের ফেরাতে উদ্যোগী হবে বলেও মত তার। আর ক্রিকেটে ফিরলেই তিনি ও তার সতীর্থরা হতাশা ও বিষণœতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন বলে মনে করেন তিনি।

গতকাল গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মিঠুন বলেন, ‘খেলতে না পারার হতাশায় আমার মন ভেঙেছে। আশা করছি শিগগিরই ক্রিকেট ফিরবে। তাহলে আমরাও মানসিক ও শারীরিকভাবে টেনশনমুক্ত হতে পারব।’

এশিয়া কাপ স্থগিত হয়ে যাওয়া একটু বেশিই কষ্ট দিচ্ছে ২৯ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যানকে, ‘আমি এশিয়া কাপের দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। ভেবেছিলাম অন্তত এটা হতে পারে। কিন্তু সেটাও হলো না। এখন এই বছরে আপাতত আমি কোনো আন্তর্জাতিক খেলা দেখছি না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও হবে কি না সন্দেহ। একটা বছর আমাদের ক্রিকেটছাড়া চলতে হবে। এটা ভেবেই কষ্ট হচ্ছে।’

একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এক বছরে এতগুলো সিরিজ ও এশিয়া কাপের মতো হাই-ভোল্টেজ টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়া দেখে তার খারাপ লাগাটা অমূলক নয়। এতে করে তার ক্রিকেটীয় চিত্তেও নিশ্চয়ই ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তবে তার সেই ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ পড়েছে করোনাকালে বিসিবির নেওয়া নানাবিধ পদক্ষেপে। কেননা, করোনাকালে ক্রিকেটারদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটি বিবেচনা করে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বোর্ড। বোর্ডের মেডিকেল বিভাগ থেকে প্রতিনিয়তই দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা টিপস। তা ছাড়া ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোচিং স্টাফদের ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করছে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। ঘরবন্দি এ সময় দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার এমন পদক্ষেপ কিছুটা হলেও তাদের মনোবল বাড়াতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করেন মিঠুন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close