ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৬ জুলাই, ২০২০

অসচ্ছলদের ফিটনেস সরঞ্জাম কিনে দেবে বিসিবি

তুলনামূলক অসচ্ছল ক্রিকেটারদের খেলার সরঞ্জাম তো দূরে থাক, ঘরে ফিটনেস সরঞ্জামও নেই। এতে করে অনেকেই ফিটনেস হারিয়ে ফেলেছেন। করোনাকালে জিমনেশিয়ামে যাওয়ারও সুযোগ নেই অসচ্ছল ক্রিকেটারদের। তাদের ফিটনেসের উন্নয়নে এবার এগিয়ে আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। খেলোয়াড়দের সরঞ্জাম কিনে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বোর্ডের মেডিকেল বিভাগ।

করোনাকাল শেষ হলেই ক্রিকেটে ফিরতে হবে। লাল-সবুজের জার্সি গায়ে ব্যাটে-বলে আবার ২২ গজের যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েতে হবে। তাই মহামারির সময়েও ঘরে বসেই চলছে টাইগারদের ফিটনেস ধরে রাখার অদম্য লড়াই। বিসিবির মেডিকেল বিভাগের পরামর্শে চার মাস হলো তারা এ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এবং যত দিন আউটডোর অনুশীলনে না ফিরছে, তত দিন পর্যন্ত এভাবেই চালিয়ে যেতে হবে।

জাতীয় দলের যেসব ক্রিকেটার আর্থিকভাবে সচ্ছল, তারা ঘরে বসেই রানিং, জিম সারতে পারছেন। কেননা, সেজন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তাদের আছে। কিন্তু যাদের আর্থিক অবস্থা অতটা সচ্ছল নয়, ফিটনেস সরঞ্জাম কেনার সামর্থ্য নেই; তাদের হয় বাসার সিঁড়ি, ছাদ অথবা বাইরের খোলা মাঠই ভরসা। ফলে ফিটনেস ধরে রাখাটা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিংই হয়ে যাচ্ছে। এসব ক্রিকেটারের জন্য ফিটনেস সরঞ্জাম কিনে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ।

এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হলো, যেহেতু এখনই আউটডোর অনুশীলনে ফিরছে না, সেহেতু প্লেয়ারদের ফিটনেস ধরে রাখতে বাসায় যত উন্নত অনুশীলন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, ততই তারা লাভবান হবেন। এতে করে তাদের ফিটনেস লেভেল ৮০ ভাগ পর্যন্ন উন্নীত করা সম্ভব হবে। বাকি ২০ ভাগ মাঠে অনুশীলনে ফিরলে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই এসে যাবে।

এ ব্যাপারে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী কাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বাসায় প্রশিক্ষণটা কত উন্নত করা যায়, আমরা সেই চেষ্টা করছি। সেটা নিয়ে চেষ্টা করতে গিয়ে আমরা এখন পরিকল্পনা করছি তাদের সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করব। কারো কারো বাসায় দেখবেন জিম আছে। আবার কারো কারো বাসায় হাঁটার জায়গাও নেই। আমরা চেষ্টা করছি যাদের কিছুই নেই, ওদের কিছু সরঞ্জাম দিতে পারি কি না।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close