বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি নবায়নের বিষয়ে আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছেন লিওনেল মেসি এবং আগামী বছর তার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ক্লাবটি ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন!

চোখ কপালে তোলার মতো খবরই বটে। এমন দাবি করেছে স্পেনের রেডিও স্টেশন ‘কাদেনা সার’। কাল গণমাধ্যমটির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেসি ও তার বাবা হোর্হে বার্সার সঙ্গে তার শেষ চুক্তিটি নবায়ন করার বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ন্যু ক্যাম্পে থাকতে না চাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন ফরওয়ার্ড।

‘কাদেনা সার’-এর খবরে আরো বলা হয়েছে, গত কয়েক মাসে বার্সেলোনা কর্তাদের বরাতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কিছু সংবাদে যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন মেসি। যেমন- জানুয়ারিতে সাবেক কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দেকে বরখাস্ত করাসহ ক্লাবটির আরো অনেক সিদ্ধান্তের পেছনে তিনি কলকাঠি নেড়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। তাছাড়া কাতালানদের বর্তমান স্কোয়াডের মানের ঘাটতি নিয়েও তিনি খুবই হতাশ। এই খবরের পরিপ্রেক্ষিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স মেসির এজেন্ট ও বার্সেলোনা কর্তাদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেও কোনো জবাব পায়নি।

বার্সার সঙ্গে মেসির সম্পর্ক প্রায় ২০ বছরের। ২০০১ সালে বয়সভিত্তিক দলে যোগ দেওয়ার পর সিনিয়র ক্যারিয়ারের পুরোটা কাটিয়ে দিয়েছেন সেখানে। রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা হয়ে উঠেছেন ক্লাবের নামের সমার্থক। কিন্তু গত কয়েক মাসে ক্লাবের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না মেসির। বিভিন্ন ইস্যুতে খোলাখোলিভাবে ক্লাব কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছেন তিনি।

ফেব্রুয়ারিতে স্প্যানিশ গণমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি এটাও বলেছিলেন, চলতি মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের জন্য বার্সার স্কোয়াড যথেষ্ট শক্তিশালী নয়।

এরপর এপ্রিলে বার্সেলোনার ফুটবলাররা করোনা মহামারির সময়ে দলের আর্থিক ঘাটতি পূরণে সহায়তা করতে বেতন-ভাতা কম নিতে রাজি হননি বলে যে মিথ্যা অভিযোগ উঠেছিল, তার জন্যও ক্লাব কর্তাদের দায়ী করে সরব হয়েছিলেন তিনি।

ইদানীং মাঠেও ভালো সময় যাচ্ছে না তার। তিন দিন আগে ৭০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। তাতে লা লিগার শিরোপাটাও প্রায় হাতছাড়া হয়ে গেছে।

মাঠ ও মাঠের বাইরের এত সব ঝামেলার পর মেসি বার্সার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন বলেই মনে করছে ‘কাদেনা সার’।

"