ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ৩১ মে, ২০২০

চলেই গেলেন হেলাল

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন তিনি। তাকে বাঁচানোর আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরাও। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের শঙ্কাটাই সত্যি হলো। হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর কাছে হেরেই গেলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার গোলাম রাব্বানী হেলাল। গতকাল বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন হেলাল। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। তখনই ডাক্তাররা বলেছিলেন, তার বাঁচার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। এর আগে থাইল্যান্ডের রাজধানীর ব্যাংককে জটিল এ রোগের চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি।

হেলালের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সাবেক গোলরক্ষক মেহেদী হাসান বাবলু জানিয়েছেন, মৃত্যুর সময় ঘনিষ্ঠজনেরা ছাড়া পাশে ছিলেন না কেউই। কাল বাদ আসর বাফুফে ভবনের সামনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গোলাম রাব্বানী হেলাল উঠে এসেছেন বরিশাল থেকে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা আবাহনীতে খেলেন। হয়ে ওঠেন ‘আবাহনীর চাঁদ’। মাঝে আড়াই মাস বিজেএমসিতে কাটানো ছাড়া ক্যারিয়ারটা উৎসর্গ করেছেন আবাহনীতেই। আবাহনীর খেলোয়াড়, পরিচালক, ম্যানেজার... কত পরিচয় ছিল তার। ২০০৮ সালে বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্যও হয়েছিলেন তিনি।

১৯৭৮ সালে ঢাকায় এশীয় যুব ফুটবল দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে পথচলা শুরু হেলালের। মূল জাতীয় দলে খেলেছেন ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত। ১৯৮২ সালে দুই চিরপ্রতিন্দ্বী আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে তুমুল গ-গোল হয়। সেটার সূত্র ধরে আবাহনীর ৪ ফুটবলারকে জেলে নেওয়া হয়। হেলাল ছিলেন তাদেরই একজন। বাকি ৩ জন হলেন বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন চুন্নু ও কাজী আনোয়ার। হেলাল তো কাল ফুটবলের মায়া ত্যাগ করে চলেই গেলেন। আর বাকি ৩ জন হয়ে গেলেন সঙ্গী হারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close