পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনুস একবার বলেছিলেন, ‘ম্যাচ ফিক্সিং ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেটে। এই ভাইরাস নির্মূলে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করে যাচ্ছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি ও বিভিন্ন ক্রিকেট বোর্ডগুলো। কিন্তু তাতেও নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে কই?’

যুগের পর যুগ ধরে ক্রিকেটের বড় বড় তারকাদের নাম কলঙ্কিত করেছে ফিক্সিং ইস্যু। কদিন আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ও আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে (এপিএল) ম্যাচ পাতানোর চেষ্টার অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৬ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন আফগানিস্তানের শফিকউল্লাহ শাফাক। তার কিছু দিন আগে ফিক্সিং কা-ে বড় নিষেধজ্ঞা পেয়েছেন পাকিস্তানের সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যান উমর আকমল। মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ, সালমান বাট, মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন, শ্রীশান্ত, অজয় জাদেজা, সেলিম মালিক, মোহাম্মদ আশরাফুল বা সাকিব আল হাসানের ঘটনা তো প্রায় সবারই জানা। এ ব্যাপারে তামিম ইকবাল বললেন, ‘ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা থাকলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।’

সম্প্রতি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও হালের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজার ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তামিম। রমিজ বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ককে ম্যাচ ফিক্সিং বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তাতে তামিমের জবাব, ‘আমি মনে করি আইসিসি যথেষ্ট করছে। আইসিসি সবাইকেই শেখাচ্ছে। আমরা সবাই জানি, প্রতিটি সিরিজে আমাদের এই ব্যাপারে শিক্ষা দেয় আইসিসি ও দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু)। সুতরাং ক্রিকেটারদের জানা উচিত কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়। এরপরও কেউ যদি জুয়াড়িদের কাছ থেকে টাকা নেয়, তাহলে বিষয়টা ওই ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। যদি সে ক্রিকেট ভালোবাসে, দেশকে ভালোবাসে, খেলাটার প্রতি আবেগ কাজ করে, তাহলে আমার মনে হয় না কেউই এই কাজ করবে।’

"