ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৭ এপ্রিল, ২০২০

সিদ্ধান্তহীনতায় আবাহনী, শঙ্কায় বসুন্ধরা

মাঠে নেই ফুটবল, অলস সময় পার করছেন ফুটবলাররা। তাই বলে কি ক্লাব কার্যক্রম বন্ধ? না, খেলা থাকুক বা না থাকুকÑ চুক্তিবদ্ধ ফুটবলার, কোচিং স্টাফ ও কর্মচারীদের ঠিকই বেতন দিতে হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ক্লাবগুলোকে। এতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে বেশির ভাগ ক্লাব। ইউরোপের জায়ান্ট ক্লাবগুলোর মতো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবও ফুটবলারদের বেতন কাটতে চায়। তবে এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় আবাহনী লিমিটেড। এদিকে বিদেশি ফুটবলারদের চুক্তি নিয়ে শঙ্কায় বসুন্ধরা কিংস।

বার্সেলোনা, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, টটেনহাম হটস্পারের মতো ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলো তাদের ফুটবলারদের বেতনের কিছু অংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশও কি একই পথে হাঁটবে? অন্তত শেখ জামালের ইঙ্গিতটা সেদিকেই। ক্লাবটির ম্যানেজার আনোয়ারুল করিম হেলাল জানালেন, ‘প্রতি মাসে আমাদের খরচ ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা। এ পরিস্থিতিতে (করোনাক্রান্তিতে) আমাদের ব্যয়ভার বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। হয়তো আমরা ফুটবলারদের বেতন কেটে নেব। আমরা শিগগিরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব।’

আবাহনী এখনো সিদ্ধান্তহীনতায়। করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি লিগ কমিটির নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে টেবিল টপাররা। ক্লাব ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রুপু জানালেন সে কথাই, ‘আমরা অপেক্ষায় আছি। সামনে কী অবস্থা দাঁড়ায় তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেব। সারা বিশ্ব যেভাবে চিন্তা-ভাবনা করছে, বাংলাদেশ একইভাবে চিন্তা-ভাবনা করবেÑ এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

তবে বসুন্ধরা কিংস বেতন কাটার পক্ষে নয়। বরং বিদেশিদের নিয়ে চিন্তিত বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। চুক্তি শেষ হয়ে গেলে বিপাকে পড়বে ক্লাবগুলো আর এক্ষেত্রে ফেডারেশনের সহযোগিতা চান কিংস সভাপতি ইমরুল হাসান, ‘বিদেশি খেলোয়াড়দের বেতনের ক্ষেত্রে বাফুফের হস্তক্ষেপ জরুরি। কারণ লিগ না হলে আগামী তিন মাস যেমন বেতন দিতে হবে, তেমনি আমরা বিশাল লোকসানের সম্মুখীন হব।’

করোনা পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত লিগ হবে কি-না, সেই আশঙ্কাও করছে ক্লাবগুলো।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close