ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

শেষ ষোলোয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

আর্সেনাল-আয়াক্সের বিদায়

দুঃসময় কাটছেই না আর্সেনালের। টানা ব্যর্থতায় মৌসুমের মাঝে হেড কোচ উনাই এমেরিকে তাড়িয়েও লাভ হয়নি। নতুন কোচ মিকেল আর্তেতার অধীনেও একই দশা লন্ডনের দলটির। সে ধারায় এবার উয়েফা ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় নিল তারা। তাদের সঙ্গে আসর থেকে ছিটকে গেছে গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে দুর্দান্ত খেলা আয়াক্সও। তবে ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

পরশু রাতে অলিম্পিয়াকোসের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ছিটকে গেল গানাররা। সামষ্টিকে ২-২ অবস্থায় শেষ হলেও অ্যাওয়ে গোলের নিরিখে শেষ ষোলোর শিকে ছিড়ল গ্রিসের ক্লাবটির। নিজেদের ডেরা এমিরেটস স্টেডিয়ামে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর ম্যাচটি আর্সেনাল হেরেছে ১-২ গোলের ব্যবধানে।

৫৩ মিনিটে পেপ আবু সিসের গোলে নির্ধারিত সময়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল অলিম্পিয়াকোস। এর আগে প্রতিপক্ষের মাঠে ১-০ গোলে জিতে ফিরেছিল আর্সেনাল। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১১৩ মিনিটে পিয়েরে-এমেরিক আউবামেয়াংয়ের গোলে এগিয়েও গিয়েছিল আর্সেনাল। তবে ১১৯ মিনিটে স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দেন অলিম্পিয়াকোসের মরোক্কান স্ট্রাইকার ইউসেফ এল-আরাবি।

এভাবে ছিটকে যাওয়ায় স্বভাবতই হতাশ আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা। ম্যাচের ফল তাকে পীড়া দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি, ‘এটা নির্মম, চরম হতাশার। কিন্তু একই সঙ্গে আমি খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত। যদি আমরা এই পর্ব পেরিয়ে সামনে যেতে পারতাম তা দুর্দান্ত হতো। খেলোয়াড়রা যেভাবে খেলেছে তাতে তাদের ওপর আমার পুরো আস্থা আছে। কিন্তু ফলটা বেদনাদায়ক।’

একই রাতে আয়াক্সের ছিটকে পড়াকে দুর্ভাগ্যই বলা যেতে পারে। ঘরের মাঠে জয় পেয়েও বাদ পড়েছে নেদারল্যান্ডসের ক্লাবটি। পরশু গেটাফের বিপক্ষে তারা জিতেছে ২-১ গোলের ব্যবধানে। কিন্তু এর আগে স্প্যানিশ ক্লাবটির মাঠে গিয়ে তারা হেরে এসেছিল ০-২ গোলে। ফলে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে জিতেও বাদ পড়তে হলো ডাচ চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই জেমি মাতা লক্ষ্যভেদ করলে শেষ ষোলোর স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় আয়াক্সের। এরপর তাদের কমপক্ষে ৪টি গোল করতে হতো। দানিলো ও অলিভেরা দুই গোল শোধ করলেও আরো দুই গোলের কমতি রয়েই গিয়েছিল তাদের।

আর্সেনাল-আয়াক্সের দুঃস্বপ্নের রাতে উৎসব করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বেলজিয়ান ক্লাব ব্রুজকে তারা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ৫-০ ব্যবধানে। এই তো গত মাসেই শীতকালীন দল বদলে ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ কিংবা ওডিয়ন ইঘালো। পরশু গোলের খাতায় নাম তুলেছেন দুজনই। সঙ্গে দেড় বছরের খরা কাটিয়ে জোড়া গোল ফ্রেডের। অপর গোলটি ম্যাকটমিনের। দুই লেগ মিলিয়ে ইউনাইটেডের পক্ষে হিসাবটা ৬-১। ৮৮ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার ফি দিয়ে ফার্নান্দেজকে দলে নিয়ে যে বুদ্ধিমানের কাজ করেছনে ইউনাইটেড কর্তারা, তা বুঝিয়ে দিতে বেশিক্ষণ সময় নেননি তিনি। প্রথমার্ধে রেড ডেভিলদের ৩টি গোলেই ভূমিকা রয়েছে এই পর্তুগিজ মিডফিল্ডারের। ২৭ মিনিটে স্পটকিক থেকে গোলের খাতা খোলেন বছর ২৫-এর ফার্নান্দেজ। সাইমন ডেলির ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টি উপহার পায় ম্যানইউ।

এরপর ৩৪ মিনিটে মাতার পাস থেকে ইঘালো গোল করলেও প্রাথমিক বলটি মাতার জন্য সাজিয়ে দিয়েছিলেন ফার্নান্দেজই। ৪১ মিনিটে ম্যাকটমিনের গোলের পেছনেও একইভাবে অবদান রাখেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লুক শ ও ম্যাসন গ্রিনউড গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। তবে শেষ ১০ মিনিটে ব্রুজ রক্ষণে অভিযান চালিয়ে একাই দুই গোল আদায় করে নেন ফ্রেড।

কাল রাতেই শেষ ষোলোর ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। দাপট দেখিয়ে এই পর্বে পা রাখা ইউনাইটেড অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে ওলে গুনার সোলশারের শিষ্যরা লড়বে অস্ট্রিয়ার এলএএসকে লিঞ্জের বিপক্ষে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close